গরম মানেই বাতাসে চরম আর্দ্রতা আর প্যাচপ্যাচে ঘাম। আবার কোনও কোনও দিন তাপমাত্রী উর্ধ্বমুখী হলেও, সঙ্গে দুপুরের দিকে শুষ্ক বাতাস আর লু। আবার কোনও দিন মেঘলা আর তার পরেই বৃষ্টি। এই হল গ্রীষ্মের রোজনামচা। কখন কেমন বেশ ধরে গ্রীষ্ম চোখ রাঙাবে তা বোঝা দায়। ক্ষণে ক্ষণে আবহাওয়ার পরিবর্তনশীল মেজাজে জেরবার হতে হয় মানুষকে। লেগেই থাকে, সর্দিকাশি, পেটের সমস্যা ইত্যাদি। আর এই সময় থেকেই ঘরে ঘরে ভাইরাল ফিভারে কাবু হয় মানুষ।
তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া দরকার। বাড়িতেই খুব সহজ একটি টোটকায় এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভার বা এমন ফ্লু। দরকার মাত্র দু’ কোয়া রসুন আর একটু আদা। রোজ সকালে খালি পেটে দুকোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। রোজ এই টোটকা খেলে সহজেই এড়াতে পারবেন সর্দিকাশি, পেটের সমস্যা ও ভাইরাল ফিভার।
মূলত রসুনে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান থাকে। এ ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে রসুন। আদা রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায় ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। আদা-রসুন একসঙ্গে খেলে তাই, শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফলে এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভার।
আরও পড়ুন: মা-বাবার ডিভোর্স! সন্তানের সঙ্গে কেমন হবে সমীকরণ?
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অমিত ঘোষ বলছেন, আরও বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চললে এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভার।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা আবশ্যিক। সর্দিকাশি বা জ্বরের রোগীর সঙ্গে হাত মেলালে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। না ধুয়ে চোখে, নাকে বা মুখে হাত দেবেন না। এতে জীবাণু ছড়ায়।
আরও পড়ুন: গরমে হৃদরোগ থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখুন এই সব উপসর্গে
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যেহেতু ভাইরাল ফিভারের অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন তাই অবশ্যই বেশি করে জল পান করুন। মদ্যপান বা ধূমপান করবেন না। আপনার খাবারের সামনে হাঁচি বা কাশি দেওয়া থেকে বিরত রাখুন অন্যদের। সব সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy