এক সময় আয় ছিল মাসে ১০ হাজার। এরপর অনেক বছর কেটে গিয়েছে। আয় এখন মাসে এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। সবকিছুই প্রায় বদলে গিয়েছে। শুধু এক রয়ে গিয়েছে একটাই ব্যাপার। মাসের শেষে পকেট খালি। আপনারও কি এমন দশা? তবে জেনে নিন কী ভাবে খরচ বাঁচাবেন কৌশলে।
১।খুচরো জমান- ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যখন একটা একটা করে গুনে পয়সা জমাতেন? আবার শুরু করুন। প্রতি দিন বাড়ি ফিরে পকেট ঝেড়ে, পার্স থেকে খুচরো পয়সা বের করে নিন। পিগি ব্যাঙ্কে জমাতে থাকুন। এই জমা খুচরোই প্রয়োজনে আপনার সাহায্যে আসবে।
২।সেকেন্ড হ্যান্ড- প্রতি মাসেই এমন কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজন পড়ে যা পরে আর তেমন কাজে লাগে না। অনেক জিনিস নতুন না হলেও চলে। বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বই, ডিভিডি-র মতো জিনিস সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রি করে। অর্ধেকেরও কম দামে পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস।
৩।জামা কাপড়- যদি প্রতি মাসে জামা কাপড় কেনার অভ্যাস থাকে তবে শেয়ার করুন। নিজের জামা বন্ধুদের পরতে দিন, তাদের পছন্দের জামা নিজে চেয়ে নিন। এতে খরচও কমবে, রোজ নতুন জামাও পরতে পারবেন।
৪।গ্রসারি শপিং- মাসে কত বার গ্রসারির দোকানে যেতে হয় আপনাকে? সব সময় কি প্রয়োজনীয় জিনিসই কেনেন? অনেক সময়ই দেখা যায় শুধুমাত্র কেনার অভ্যাসের বশে অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ফেলি আমরা। এ ভাবে খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই কেনার সময় খেয়াল রাখুন।
৫।মাসের বাজার- মাঝে মাঝেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানে ছুটি আমরা। এতে খরচের হিসেব থাকে না। মাসের শুরুতে প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা বানিয়ে নিন। একসঙ্গে গোটা মাসের জিনিস কিনলে খরচ অনেক কম পড়বে।
৬।সপ্তাহের খরচ- যদি মনে হয় খরচ খুব বেড়ে যাচ্ছে তাহলে প্রতি সপ্তাহের বাজেট ঠিক করে নিন আগে থেকে। সেই বাজেটের মধ্যেই খরচ রাখার চেষ্টা করুন। হিসেব করে চললে মাসের শেষে খালি পকেটের সমস্যায় পড়বেন না।
৭।লেট ফি- সময়ের মধ্যে বিল মেটানোর চেষ্টা করুন। একটা সময়ের পর একদিকে লেট ফি বাড়তে থাকে, অন্যদিকে পকেটেও টান পড়তে থাকে। তাই সময় মতো বিল মেটান। এতে টাকা যেমন কিছুটা বাঁচবে, তেমনই মাসের শেষে চাপও কমবে।
৮।বাড়ির খাবার- খরচ কমাতে যতটা সম্ভব বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাড়ি থেকে লাঞ্চ নিয়ে অফিস যান। এতে শরীরও ভাল থাকবে। ফলে খাওয়ার খরচও কমবে, আবার শরীর খারাপ হয়ে চিকিত্সার খরচও বাঁচবে।
৯।চা, কফি- যদি অতিরিক্ত চা, কফি, ধূমপানের নেশা থাকে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। এ ভাবে অনেক বাজে খরচ এড়াতে পারবেন। ভেবে দেখুন ঠিক কতটা আপনার প্রয়োজন, আর কতটা স্রেফ অভ্যাসের বশে খাচ্ছেন। বেশি চা, কফি শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকারক।
১০।রিসাইকেল- অনেক সুপারমার্কেট পুরনো জিনিস রিসাইকেল করে। বাড়ির পুরনো শিশি, বোতল, খবরের কাগজ কিলো দরে বিক্র করুন। অনেক সময় টাকার বদলে ফ্রিতে রেশনও পেয়ে যেতে পারেন। এতে খরচও কমবে, আবার বাড়ি পরিষ্কারও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy