ব্যয় কমাতে কী কী করতে পারেন প্রবীণেরা? ছবি: ফ্রি পিক।
সময় থাকতেই বয়সকালের জন্য সঞ্চয় করা জরুরি, যাতে অবসরের পর টাকাপয়সায় টান না পড়ে। যাতে জমানো অর্থেই শেষজীবনটা চলে যায়। কিন্তু যৌবনকালে সঞ্চয় করেও শেষজীবনে সমস্যা হতে পারে যদি ভাবনাচিন্তা না করেই খরচ করেন কেউ। অবসর মানেই এক ধাক্কায় আয় কমে যাওয়া। সরকারি চাকরিজীবীদের অনেকের পেনশন থাকে। আর বেসরকারি চাকরিজীবী হলে সেই সুবিধাও নেই। যেটুকু জমানো টাকা, তার উপরেই নির্ভর করতে হবে।
বয়স হলে রোগব্যাধিও বাড়ে। আবার অখণ্ড অবসরে ভাল থাকার জন্য একটু ঘোরা-বেড়ানোরও প্রয়োজন হয়। সঙ্গে থাকে সংসারের দায়-দায়িত্ব। জমানো পুঁজি থেকে এই সব সামাল দিতে গেলে দরকার উপযুক্ত পরিকল্পনা। না হলে সেই টাকা শেষ হতে বেশি দিন লাগবে না।
খরচ ও প্রয়োজনে সামঞ্জস্য
প্রথমেই দেখে নেওয়া প্রয়োজন, কোন খরচগুলি অনিবার্য। ওষুধ, খাওয়া-দাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক খরচ জুড়লে অঙ্ক কত দাঁড়াচ্ছে। অনেক সময় ভাল লাগল বলেই অনেক কিছু কেনা হয়ে যায়। সেই খরচটা বাঁচানো যায় কি না, ভেবে দেখা দরকার।
বিনিয়োগ
অবসরের সময় প্রাপ্ত অর্থ সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ জরুরি। সঞ্চিত অর্থ খরচ করতে থাকলে শেষ হবেই। তাই পেনশন না থাকলে, অবসরের সময় প্রাপ্ত অর্থ এমন কোনও খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন, যেখানে মূলধনে হাত পড়বে না। তার সুদের অর্থ ব্যবহার করা যাবে।
প্রবীণ নাগরিকরদের সঞ্চয় প্রকল্প
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সঞ্চয়ে বাড়তি সুবিধা থাকে। তাঁদের যেমন আয়করে বাড়তি ছাড় থাকে, তেমনই আমানতে সুদের হারও বেশি হয়। তাই সঠিক খাতে বিনিয়োগ করলে প্রবীণদের সুবিধা হবে। তবে বেশি লাভের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পে বিনিয়োগ না করাই ভাল।
জরুরি পরিস্থিতি
বয়সকালে যে কোনও মুহূর্তে জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। হঠাৎ কোনও অসুস্থতা খুব সাধারণ বিষয়। সেই দিকটি মাথায় রেখে বেশ কিছু টাকা এমন খাতে বিনিয়োগ করা দরকার, যাতে চাইলেই তা তুলে নেওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy