খাওয়ার সাধ ষোলো আনা। কিন্তু লাবড়া রাঁধতে হবে শুনলে অনেকের চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। রান্না করার ঝক্কি যেমন, তেমন ঝামেলা রয়েছে আয়োজনেও। কিন্তু বাড়ির সকলে সরস্বতী পুজোর দিন খিচুড়ির সঙ্গে একটু লাবড়া খাওয়ার আবদার করেছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। আগে থেকে বাজার করা থাকলে রান্না করাও আসান হয়ে যাবে। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
৩টি মাঝারি আকারের আলু
২টি মিষ্টি আলু
৪-৫টি গাঠি কচু
৩টি বেগুন
১টি থোড়
২টি কাঁচকলা
১টি ফুলকপি
১টি বাঁধাকপি
১০-১২টি সিম
১০-১২টি বরবটি
বড় এক ফালি কুমড়ো
৫-৬টি কাঁচালঙ্কা
১ কাপ সর্ষের তেল
২-৩টি শুকনো লঙ্কা
২-৩টি তেজপাতা
আধ চা চামচ পাঁচফোড়ন
১ টেবিল চামচ আদাবাটা
২ কাপ নারকেল কোরা
১ চা চামচ হলুদ
স্বাদ অনুযায়ী নুন
পরিমাণ মতো চিনি
১ টেবিল চামচ ঘি
প্রণালী:
· প্রথমে আলু, রাঙালু, কাঁচকলা, কুমড়ো, গাঠি কচুর খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। বেগুনও কেটে নিতে হবে।
· থোড়ের খোসা ছাড়িয়ে গোল গোল করে কাটতে হবে। সঙ্গে ভিতরের আঁশও ছাড়িয়ে নিতে হবে।
· পাতা ছাড়িয়ে একটু বড় বড় করে ফুলকপি, বাঁধাকপি কেটে নিন।
· সিম, বরবটি লম্বা লম্বা করে কেটে রাখুন। কাঁচালঙ্কাগুলি মাঝ বরাবর চিরে নিন।
· এ বার বড় একটি পাত্রে জল ফুটতে দিন। সামান্য নুন দেওয়া যেতে পারে।
· ওই জলের মধ্যে প্রথমে বরবটি ভাপিয়ে তুলে নিন। তার পর কচুগুলোও একই ভাবে ভাপিয়ে তুলে রাখতে হবে।
· এ বার কড়াইয়ে বেশ অনেকটা পরিমাণ সর্ষের তেল গরম হতে দিন।
· তার মধ্যে প্রথমে বেগুনগুলো ভেজে তুলে ফেলুন। দ্বিতীয় ধাপে দিন কাঁচকলা। ওই তেলেই শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা আর পাঁচফোড়ন দিন।
· একটু ভাজা হয়ে এলে দিয়ে দিন আদাবাটা। এ বার আলু, থোড়, কুমড়ো ভাজতে দিন। এই সময়ে কয়েকটি কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিতে পারেন।
· সামান্য নাড়াচাড়া করে নিয়ে ফুলকপি এবং বাঁধাকপিও দিয়ে দিতে হবে। কড়াই ঢাকা দিয়ে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে সবটা ভাজতে হবে।
· এ বার একে একে কচু, সিম, বরবটি দিয়ে দিন। নাড়তে নাড়তে দিয়ে দিন নারকেল কোরা।
· গুঁড়ো হলুদ, নুন, চিনি দিয়ে দিন এই সময়ে। একেবারে শেষে দিতে হবে ভেজে রাখা বেগুন এবং কাঁচকলা।
· সবটা ভাল করে মিশে গেলে একবারে শেষে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন লাবড়া।