ছবি: সংগৃহীত।
গরম যে হারে বাড়ছে, তাতে সুস্থ থাকাই দায় হয়ে উঠছে। এই দহনজ্বালা জুড়োতে শুধু ফ্রিজের ঠান্ডা জল কিংবা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলেই হবে না। খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল। মাছ, মাংস, ডিমের বদলে শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে। রোজ অন্তত ২-৩ রকমের সব্জির পদ খেলে ভাল। তাই অনেকেই বাড়িতে সব্জি কিনে রাখছেন। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই পচে যাচ্ছে সব্জি। ফ্রিজে রাখলেও টাটকা থাকছে না সব্জি। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সব্জি খাওয়ার উপায় থাকছে না। তা ছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে শাকসব্জি সংরক্ষণ না করলে রান্না করা পর্যন্ত তার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে না।
১. সব্জি বাড়িতে এনে অনেকেই ঝুড়িতে বা অন্য কোনও পাত্রে রেখে দেন। তাতে সব্জি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সব্জির পুষ্টিগুণও চলে যেতে পারে। শাকসব্জি, ফলমূল তাজা ও সতেজ রাখতে সেগুলি ফ্রিজে তুলে রাখুন। কিংবা সুতির নরম কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে তাতে সব্জিগুলি মুড়ে রাখতে পারেন। তবে এই টোটকা সব সব্জির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। টমেটো বা লঙ্কা এ ভাবে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একান্তই প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখলে ব্যাগে দু-একটা ছিদ্র করে রাখতে পারেন।
২. বাজার থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেওয়া সব্জি অনেকেই বাড়িতে এনে সে ভাবেই রেখে দেন। এতে সব্জির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি পচেও যেতে পারে। তাই বাজার থেকে সব্জি কিনে আনার পর তা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বার করে খোলা হাওয়ায় রাখুন। তাতে সব্জি বেশ অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।
৩. শাকসব্জির পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রান্নার পদ্ধতিও সঠিক হওয়া প্রয়োজন। শাকসব্জির পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তা কতটা আঁচে বা কত ক্ষণ ধরে রান্না হচ্ছে। বেশি ক্ষণ ধরে অতিরিক্ত আঁচে রান্না করা ঠিক নয়। এতে সব পুষ্টিগুণই চলে যায়। এ ছাড়াও রান্নায় কত জল দেবেন তার উপরও নির্ভর করছে রান্নার পরেও সব্জি কতটা পুষ্টিকর থাকবে। তাই শাকসব্জি দিয়ে তরকারি রান্না করার সময়ে কম আঁচে রান্না করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy