বারান্দায় আলো-হাওয়ার অভাব নেই। ঠিক সে কারণেই ফুল, সব্জির গাছ বেড়েও ওঠে তরতরিয়ে। কিন্তু অতিরিক্ত রোদই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে কি? এক দিন জল দিতে ভুলে গেলেই শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ!
শীত হোক বা বর্ষা কিংবা গ্রীষ্ম— ঋতুভেদে বাগানের পরিচর্যার ধরন ভিন্ন হয়। বাইরের তাপমাত্রা, আর্দ্রতার গভীর প্রভাব পড়ে গাছের উপর। এই সময় গাছেরও বাড়তি জল দরকার হয়। দ্রুত টবের মাটি শুকিয়ে যায়। গরমে কী ভাবে যত্ন নেবেন গাছের?
১। কোনও কোনও গাছের জন্য মাটিতে আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। সকালে উঠেই তাই গাছে জল দিন। গরম যত বাড়ে, মাটি তত দ্রুত শুকিয়ে যায়। যদি মনে হয়, এক দিনের জন্য কোথাও যাবেন বা ব্যস্ততায় জল দেওয়া সম্ভব হবে না, সে ক্ষেত্রে একটি প্লাস্টিকের বোতলের ঢাকনায় ছোট্ট ছিদ্র করুন। বোতলে জল ভর্তি করে ঢাকনাটি নীচের দিক করে টবে কঞ্চি আটকে সেটি বেঁধে দিন। এতে সারা দিন বোতল থেকে করে মাটিতে জলবিন্দু পড়বে, মাটি আর্দ্র থাকবে।
২। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য শুকনো, ঝরা পাতা টবের মাটির উপর চাপা দিয়ে দিন। এতে মাটির উপরিভাগ রোদের তাপে চট করে শুকিয়ে যাবে না।
আরও পড়ুন:
৩। কোন গাছ কতখানি তাপ সহ্য করতে পারে সে ব্যাপারে ধারণা থাকলে সুবিধা হয়। যে গাছ রোদের তাপে দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে সেগুলি ছাউনির তলায় নিয়ে আসতে হবে। তবে খেয়াল রাখা দরকার, হাওয়ার যেন অভাব না হয়। ছাউনির নীচেও যেন হালকা সূর্যালোক পায় গাছগুলি।
৪। গরম বলে অতিরিক্ত জল দিলেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। অনেক গাছের জন্য আর্দ্র মাটির দরকার হলেও, জল জমলে গোড়া পচে গাছ মরে যেতে পারে। পোকার আক্রমণ হতে পারে। তাই টবের মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে, তবেই জল দেওয়া গরকার।
৫। ভরদুপুরে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময় সুতির কাপড় দিয়ে গাছের মাথায় আচ্ছাদন তৈরি করতে পারেন। এতে প্রবল তাপ থেকে গাছ বাঁচানো যাবে।
৬। টবের মাটি না শুকোলে জল দেওয়া যায় না। তবে মাঝেমধ্যে গাছের গায়ে জল স্প্রে করে দিন। দিনে দু’বার এমনটা করা যায়।