কী ভাবে কার্পেট দিয়ে ঘর সাজাবেন, রইল টিপ্স। ছবি: ফ্রিপিক।
একঘেয়েমি অন্দরসাজে বদল আনতে পারে রঙিন কার্পেট। সুতোর নিখুঁত নকশা বোনা কার্পেটের রং-রূপ-আভিজাত্যে সাধারণ অন্দরসাজ হয়ে উঠতে পারে অসাধারণ। আসলে কার্পেট শুধুই যে বসতবাড়ির শোভা বাড়াচ্ছে, তা তো নয়, এর শিল্পকর্মে আপনার রুচিবোধ ও আভিজাত্যেরও পরিচয় দেবে। কাশ্মীর, তুরস্ক, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া... কার্পেটের সম্ভার ছড়িয়ে রয়েছে নানা দেশে। সাধ্যমতো কিনে বাড়ি সাজিয়ে ফেলুন।
অতিথিরা এসে যেখানে বসবেন সেই বসার ঘর, শোয়ার ঘর, স্টাডি রুমের সাজ বদলে দেবে আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজ়ারবাইজ়ান, কাশ্মীরি কাজের কার্পেট। রং, নকশা, মোটিফের বুনটে এক একটি কার্পেট এক এক রকম গল্প বলে। কোথাও প্রকৃতির ছবি, তো কোনওটাই জিওমেট্রিক প্যাটার্ন, আবার কোনওটায় বিভিন্ন রকম মোটিফ। রঙে, রেখায় কেউ কারও থেকে কম নয়।
আভিজাত্যের দিক থেকে বললে পার্সি আর কাশ্মীরি কার্পেটের কোনও বিকল্প নেই। নকশা, মোটিফে কাশ্মীরি সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকে। সাবেকিনকশার বুননে সেই কার্পেট অনন্য। যে কোনও ঘরেরই আকর্ষণ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। এখন অবশ্য হালকা সিন্থেটিক ও ফ্যাব্রিকের কাজের কার্পেটও বেরিয়ে গিয়েছে। নিয়মিত ব্যবহারের কারণে নোংরা হয়ে গেলেও চিন্তা নেই, সহজেই ধুয়ে ফেলা যায়।
সুতি, উল, সিল্ক ইত্যাদি কার্পেটের অনেক ধরন। তবে ওজনে ভারী হলেই যে কার্পেট ভাল হবে তা বলা যায় না। কোন কার্পেটের কারুকাজ কত সূক্ষ্ম ও ঘন তাই দেখেই কিনতে হবে।
কার্পেট দিয়ে ঘর সাজানোর নিয়মও আছে। শোওয়ার ঘরে কার্পেট পাতার জায়গা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবুও খাট থেকে নামার পর যেখানে পা রাখবেন,সেখানকার মেঝেতে ছোট একটা কার্পেট পেতে রাখবেন যাতে মেঝের ঠান্ডাটা সরাসরি পায়ে না লাগে। বসার ঘরে যখন কার্পেট পাতবেন, কার্পেটটা যেন এমন ভাবে পাতা থাকে, যাতে সোফায় বসে পা কার্পেটের উপরে থাকে। বাথরুমে কিংবা রান্নাঘরের আশপাশে যেখানে ভিজে পায়ে বেড়িয়েই পা দিতে হয়, এমন জায়গায় কার্পেট রাখবেন না একেবেরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy