হাতের তালু ও আঙুলেই লুকিয়ে নীরোগ থাকার চাবিকাঠি। ছবি: সংগৃহীত।
আজকাল পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ কম-বেশি নানা শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত। বহু মানুষকে আজীবন ওষুধ খেয়ে স্বাভাবিক রাখতে হচ্ছে জীবনের ছন্দ। কিন্তু তাতেও বাদ সাধছে কড়া কড়া সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই হয়তো গোটা বিশ্ব ঝুঁকছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে। সেখানেই জায়গা করে নিয়েছে প্রাচীন কিছু পদ্ধতি।
চিকিৎসকেরা বলেন, মানুষের শরীরের মধ্যেই সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে। সেখানে গড়বড় হলেই অসুখবিসুখ বাসা বাঁধে। তাই যদি শরীরের বিভিন্ন পেশি ও স্নায়ুগুলিকে উদ্দীপিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া যায়, তা হলেই দুরারোগ্য ব্যাধি দূরে থাকবে। ওষুধ খাওয়ার দরকারই পড়বে না। শরীরের পেশি ও স্নায়ুকে সক্রিয় করে তোলার কিছু পদ্ধতি আছে। চলুন সেগুলি জেনে নিই।
দুই হাতের তালু ঘষার উপকারিতা অনেক
আকুপ্রেশারেরই একটি পদ্ধতি। প্রাচীন ভারতীয় যোগে আকুপ্রেশারের নানা পদ্ধতির উল্লেখ আছে। হাত ও পায়ের তালু, দুই হাতের আঙুল, নখ দিয়ে এমন কিছু মুদ্রা করা যায়, যা কঠিন ব্যাধির ঝুঁকিও কমাতে পারে। দুই হাতের তালু মিনিট পনেরো ঘষলে তার উপকারিতা অনেক। শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থিগুলির ক্ষরণ ঠিকমতো হয়, হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং পেশির অসাড়তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। নিয়ম করে প্রতি দিন সকালে ও রাতে যদি দুই হাতের তালু নিয়ম করে ঘষতে হবে। সঠিক ভাবে এই প্রক্রিয়া করতে পারলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভাল থাকবে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কমে যাবে। শরীর ও মনের ক্লান্তি ভাব কমবে, মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়বে।
হাতের তালু ঘষলে পেশি ও স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে সঙ্কেত পৌঁছয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, অক্সিজেনের প্রবাহও ঠিকমতো হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের বাত, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাঁপানি, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যালার্জি, মাথা যন্ত্রণা, প্রজননে সমস্যা, অনিদ্রা, পক্ষাঘাতের মতো অসুখ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
কয়েকটি মুদ্রা অভ্যাস করতে পারেন
বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলকে ডান হাত দিয়ে মিনিট পাঁচেক চেপে ধরে থাকুন। মাথা যন্ত্রণা যদি খুব ভোগায় বা মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে, তা হলে আরাম পাবেন।
পাঁচ থেকে ১০ মিনিট হাতের তর্জনীকে চেপে ধরে থাকুন। এই মুদ্রায় মনের ভয়, হতাশা দূর হবে। পেশির ব্যথাও কমে যাবে।
রক্তচাপের সমস্যা যদি থাকে, তা হলে হাতের মধ্যমা একই ভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট চেপে ধরে থাকুন। প্রথমে বাঁ হাতের মধ্যমা, তার পর ডান হাতের। নিয়মিত করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
ক্লান্তি ভাব যদি কাটতে না চায়, অল্পেই দুর্বল হয়ে পড়েন, তা হলে হাতের কণিষ্ঠা একই ভাবে ১৫ মিনিট চেপে ধরে থাকুন। এই মুদ্রায় মানসিক চাপও কমে যায়। রাতে ঘুম ভাল হয়। দুশ্চিন্তা আসে না।
খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও হার্ট ভাল রাখতে সূর্য মুদ্রা খুবই কার্যকরী। অনামিকা মুড়ে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের গোড়া স্পর্শ করতে হবে। তার পর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে অনামিকার উপর চাপ দিতে হবে। দিনে দু’বার খাওয়ার আগে ১৫-২০ মিনিট এই মুদ্রা করে দেখতে পারেন। হার্ট, ফুসফুস, লিভারের কঠিন অসুখের ঝুঁকি কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy