চোখ বাঁচিয়ে দোল খেলুন। ছবি: শাটারস্টক।
ফাগুনে রঙের উৎসবে মেতে ওঠার সময় আসন্ন। প্রিয় জনের গালে আবির ছোঁয়ানো থেকে বন্ধু-স্বজনদের রঙে চোবানো, কোনওটাতেই কার্পণ্য করার কারণ নেই। কেবল মনে রাখুন কিছু সতর্কতা। দোল খেলুন সেই সব সচেতনতাকে সঙ্গে নিয়েই। এতে উৎসবে যেমন বাড়তি সুরক্ষার রং যোগ হবে, তেমনই রং খেলার আনন্দেও ভাটা পড়বে না শরীরের কারণে।
দোল খেলতে গিয়ে হঠাৎই চোখে রং ঢুকে গেলে কিন্তু ষোলো আনা বিপদ। আজকাল বাজারে প্রায় সবই সিন্থেটিক রং। এগুলো চোখের পক্ষেও খুব মারাত্মক। রং ঢুকুক বা আবির, ঠিক সময়ে পরিচর্যা না নিলে কিন্তু সংক্রমণের শিকার হতে পারেন, অবহেলা করলে অন্ধত্বও গ্রাস করতে পারে। তাই চোখের যত্নের বিষয়ে কোনও হেলাফেলা নয়।
রং খেলার আগে তাই মেনে চলুন কিছু সতর্কতা, খেলার পর রং চোখে ঢুকে গেলেও কী কী করতে হবে তাও জেনে রাখতে হবে। দোলের দিন রংয়ের হাত থেকে চোখ বাঁচাতে কী কী সতর্কতা নেবেন দেখে নিন।
আরও পড়ুন: দাঁতে ঘন ঘন যন্ত্রণা ও ক্ষয়? ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন এ সব উপায়ে
সানগ্লাস পরে রং খেলুন, বাঁচবে চোখ।
সানগ্লাস: শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশকে রক্ষা করতেসানগ্লাস পরে রং খেলুন। বাড়ির খুদে সদস্যের চোখেও থাকুক সানগ্লাস। এতে খেলার সময় রং বা আবিরের গুঁড়ো ছিটকে এসে চোখে লাগার প্রবণতাকে অনেকটাই আটকানো যাবে।
লেন্স: লেন্স পরলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।লেন্স খুলে পাওয়ার দেওয়া সানগ্লাস পরে রং খেলুন। লেন্সে রং বা আবির ঢুকে গেলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
এর পরেও যদি চোখে রং ঢোকে?
চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রাপ্তি ঘোষের মতে, চোখে রং ঢুকলে খেলা বন্ধ করুন তখনই। চোখ একেবারেই কচলাবেন না। বরং কড়কড়ানি কমাতে প্রথমেই অনেকটা ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। সাধারণ ঝাপটাতেও অস্বস্তি না গেলে দোকান থেকে সিরিঞ্জ কিনে তার সূচ ফেলে দিয়ে তাতে খাবার জল ভরে নিন। একে পিচকিরির মতো ব্যবহার করে আরও কয়েক বার চোখ পরিষ্কার করুন।
আরও পড়ুন: রাসায়নিকের ক্ষতি এড়াতে দোল খেলুন ভেষজ রঙে, কোথায় পাবেন সে সব?
অ্যান্টিবায়োটিক আইড্রপ রাখুন হাতের কাছে।
এতে সমস্যা কিছুটা কমার কথা। তবে সমস্যা কমলেও অবশ্যই চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে বিশেষ যত্ন নিন। অনেক সময় চোখের ভিতরে ঢুকে থাকা রং সহজে বেরয় না। পরে তা চোখের ক্ষতি করে। তাই চোখ নিয়ে অবহেলা করবেন না। চোখ পরিষ্কারের পর দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক আইড্রপ কিনে তা লাগান চোখে। তবে এই ধরনের ড্রপ কেনার আগে ভাল হয় চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারলে। তাই হাতের কাছে মজুত রাখুন চক্ষুবিশেষজ্ঞের ফোন নম্বর। অনেকেই সহজে আরাম মেলে এমন কিছু আইড্রপ কিনে তা ব্যবহার শুরু করে দেন। এ সব আইড্রপে থাকা স্টেরয়েড চোখের প্রভূত ক্ষতি করে।
অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপের পরেও জটিলতা আছে মনে হলে একটুও সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসক বা হাসপাতালের শরণ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy