ভ্যাপসা গরম পড়ছে। এই সময়ে চোখের নানা সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে গরমে ঘামে চোখে অ্যালার্জিও হতে পারে। এই সময়ে কনজাঙ্কটিভাইটিসও হয় অনেকের। তাতে চোখ লাল হয়ে যায়, অনবরত জল পড়তে থাকে। তাই বড়রা তো বটেই, ছোটদেরও চোখের যত্ন নেওয়া জরুরি। বাবা-মায়েরা খেয়াল করবেন, রোদ থেকে ফিরেই যদি শিশু বলে, চোখ জ্বালা করছে বা চোখ দিয়ে জল পড়ছে, তা হলে অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মানতে হবে।
গরমের সময়ে ঘাম জমে ও হাতের ধুলোময়লা লেগে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে চোখে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির কারণেও চোখে চোখ জ্বালা করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণ ঘটলে অ্যালার্জি হতে পারে।
রোদ থেকে শিশুর চোখ বাঁচাতে কী করবেন?
১) রোদ চশমা পরাতেই হবে। ইউভি-এ ও ইউভি-বি রশ্মি প্রতিহত করতে পারে, এমন সানগ্লাস কিনতে হবে। না হলে একটু বড় দেখে টুপি পরানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
২) শিশুকে শেখাতে হবে হাত না ধুয়ে যেন বার বার চোখে হাত না দেয়। গরমের সময়ে নরম সুতির রুমাল রেখে দেবেন শিশুর স্কুলব্যাগে। রুমাল দিয়ে মুখ ও চোখ মোছা শেখাবেন।
৩) স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে শিশুর ব্যাগে। চোখে হাত দেওয়ার আগে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৪) গরমে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। তাই বার বার জল খাওয়াতে হবে শিশুকে। ডাবের জল, ফলের রসও খাওয়াতে হবে এই সময়ে।
৫) চোখ খুব বেশি জ্বালা করলে বা চুলকানি হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
৬) বাজারে অনেক রকম লুব্রিক্যান্ট আই ড্রপ পাওয়া যায়। তবে শিশুর চোখের জন্য কোনটি ঠিক, তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। স্টেরয়েড দেওয়া কোনও ড্রপ ব্যবহার করবেন না।
৭) অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে সেখানে ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। পরিষ্কার সুতির কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো ভাল করে মুড়ে নিয়ে ফোলা জায়গায় দিতে হবে। ঠান্ডা সেঁক দিলে প্রথমে সেই জায়গার রক্তনালিগুলি সঙ্কুচিত হবে, তার পর ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে রক্ত চলাচল শুরু হবে। এতে ফোলা ভাব খুব দ্রুত মিলিয়ে যাবে। চোখের যন্ত্রণা, চুলকানিও কমে যাবে।