আবহাওয়ার ভোলবদলে একাধিক ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া সক্রিয় হয়েছে। সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশি তো বটেই, শিশুরাও ভুগছে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণে। সেই সঙ্গেই রোটাভাইরাস, নোরোভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসের সমস্যা, পেটের রোগও ভোগাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে জানিয়েছে, সদ্যোজাতদের মধ্যেও নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এর নেপথ্যে রয়েছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)।
গত কয়েক মাসে এইচএমপিভি-র সংক্রমণ উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দেশের নানা রাজ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপে বহু মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। এমনকি, কলকাতায় এক শিশুর শরীরেও ধরা পড়েছিল এই ভাইরাস। হু জানাচ্ছে, সদ্যোজাতদের শরীরে খুব দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই ভাইরাস। কম সময়ের মধ্যে বিভাজিত হয়ে সংখ্যায় বাড়তেও পারে। কারণ, এই ভাইরাস শরীরে ঢুকে সবচেয়ে আগে রোগ প্রতিরোধী কোষগুলিকে (ইমিউন কোষ) নষ্ট করতে থাকে। আর সদ্যোজাতের শরীরে যে হেতু শ্বেত রক্তকণিকা অপরিণত অবস্থায় থাকে, তাই রোগ প্রতিরোধী কোষ তৈরি হওয়ার আগেই ভাইরাস সুস্থ কোষগুলির দখল নিতে পারে।
আরও পড়ুন:
কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে
সদ্যোজাতের শরীরে এই ভাইরাস ঢুকলে হালকা জ্বর, সর্দি হবে
নাক দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকবে
শুকনো কাশি শুরু হবে
ঘন ঘন বমি হবে শিশুর
ঠোঁট, হাতের নখ, ত্বকের রং নীলচে হয়ে যাবে
প্রতিরোধের উপায় কী?
১) শিশুর জ্বর, সর্দিকাশি ঘন ঘন হতে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
২) শিশুর কাছে যাওয়ার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে।
৩) বাড়িতে কারও সর্দিজ্বর হলে, তাঁর থেকে শিশুকে দূরে রাখাই ভাল।
৪) শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে নিজে থেকে ওষুধ না দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।