Five things you never knew your baby would learn in mother's womb dgtl
baby
জন্মের আগেই শিশু জেনে যায় এ সব, জানেন কী কী?
মাতৃগর্ভে থাকাকালীন আপনার শিশু শিখে যায় বেশ কিছু জিনিস। দেখুন কী কী।
শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৮ ১৪:০৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৬
মহাকাব্য অনুযায়ী, অভিমন্যু গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন শিখেছিলেন চক্রবূহ্যে ঢোকার পথ। শিখতে পারেননি বেরনোর রাস্তা। তবে কেবল অভিমন্যু নয়, বিজ্ঞান বলছে, জন্মের অনেক আগে থেকেই, মাতৃগর্ভে থাকাকালীন আপনার শিশুও শিখে যায় বেশ কিছু জিনিস। জানেন সে সব কী কী?
০২০৬
শব্দ চেনা: জীবনের এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই শিশু শিখে যায় ভ্রণাবস্থায়। গবেষণা বলেছে, গর্ভাবস্থায় মা যত কথা বলেন, একটা সময়ের পর সেই সব শব্দ টেপ রেকর্ডারের মতো তার কানে পৌঁছয়। তাই জন্মের পর মায়ের গলা চিনতে খুব একটা অসুবিধা হয় না শিশুর। এমনকী, মায়ের চারপাশে থাকা বিভিন্ন মানুষের গলার আওয়াজও তার পরিচয়ের আওতায় থাকে।
০৩০৬
ভাষা বোঝা: গর্ভে থাকাকালীন কান তৈরি হওয়ার পর পরই শিশু তার মাতৃভাষায় অভ্যস্ত হতে শুরু করে। পরিচিত সেই ভাষায় যা কিছু বলে হোক না কেন, সে দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই। যদি কখনও কল্পনা করেন, মাতৃগর্ভে থেকে চোখ বুজে, কান খাড়া করে শব্দ শুনছে শিশু— তা হলে খুব ভুল ভাবেননি। শিশুর শব্দ বোঝার হাবভাব অনেকটাই এরকমই। ছবি: শাটারস্টক।
০৪০৬
স্বাদ বোঝা: গর্ভে থাকার আট থেকে পনেরো সপ্তাহের মধ্যেই শিশুর এই ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। তখন থেকেই সে আলাদা করতে পারে মিষ্টি, টক আর তেতো স্বাদ। তাই জন্মের পর এর বাইরে অন্য কোনও ফ্লেভার মা নিজের খাদ্যাভ্যাসে রাখতে শুরু করলে তা প্রভাবিত করে মাতৃদুগ্ধের স্বাদকে। শিশুও বুঝতে পারে সেই তারতম্য।
০৫০৬
আলোর অস্তিত্ব: হ্যাঁ, এটাও বুঝে যায় শিশু। সাত সপ্তাহের আগে তার চোখই ফোটে না ভাল করে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেই অবস্থাতেও মাতৃগর্ভের নিকষ কালো অন্ধকারে কোনও ভাবে আলো পৌঁছে দিলে সে তার চোখ সরিয়ে নিচ্ছে আলের বিপরীতে। এমনকী, আলট্রাসাউন্ডে ধরা পড়েছে, জন্মের কাছাকাছি সময়ে বারবার চোখ পিটপিট করা শিশুর অভ্যাস। ছবি: শাটারস্টক।
০৬০৬
গন্ধবিচার: আজব এই ক্ষমতাটিও শিশু অর্জন করে জন্মের আগেই। জিরে, মৌরি, রসুন ও টুকটাক মশলার গন্ধ সে চিনে যায় মায়ের খাদ্যাভ্যাস থেকেই। যে অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িডে ভেসে থাকে শিশু, মূলত তার গন্ধ হয় অনেকটাই মায়ের গায়ের গন্ধের মতো। তাই জন্মের পর সেই গন্ধের উপর আর গলার স্বরের উপর নির্ভর করেই মায়ের উপস্থিতি টের পায় শিশু।