শীতের মরসুমে গুচ্ছ গুচ্ছ লোম ঝরে পড়ে পোষ্যের গা থেকে। ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়তে না পড়তেই চুল ওঠার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। শ্যাম্পু করা তো দূর, মাথায় চিরুনি ঠেকাতেই ভয় লাগছে। আঁচড়াতে গেলেই গুচ্ছ গুচ্ছ চুল ছড়িয়ে পড়ছে মাটিতে। চুল খুলে রাখলেও বিপদ! পোশাকের মধ্যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। আপনার চুলের মতো শীতের মরসুমে গুচ্ছ গুচ্ছ লোম ঝরে পড়ার সমস্যা কিন্তু হতে পারে আপনার পোষ্য কুকুরটিরও। পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, বছরে সাধারণত ৩ বার কুকুরদের লোম ঝরে পড়ে। কিন্তু, শীতে এই সমস্যাই আরও বেড়ে যেতে পারে ছোট ছোট কয়েকটি ভুলে। তাই সেই ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১) নিয়মিত আঁচড়ানো
মাথার চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই ভয়ে আঁচড়াতে চান না। পোষ্য কুকুরের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক। নিয়মিত ব্রাশ না করলে লোম ঝরে পড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে ভুল ব্রাশ ব্যবহার করলেও অনেক সময়ে লোম ওঠার পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই লোমের ধরন বুঝে ব্রাশ কিনবেন।
২) শরীর আর্দ্র রাখা
পোষ্যের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলেও কিন্তু লোম উঠে যেতে পারে। তাই শীতেও যেন তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খায়, সেই দিকে লক্ষ রাখুন। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে যেমন খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়, তেমনটাই হতে পারে পোষ্যের গায়ে।
৩) নিয়মিত স্নান করানো
সময়ের অভাবে পোষ্য কুকুরটিকে নিয়মিত স্নান করাতে পারেন না। শীতকালে নিজে যেমন স্নান করতে ভয় পান, তেমন পোষ্যের ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ভেবে সপ্তাহে একদিন গায়ে জল দেওয়ার অভ্যাস করেছেন। এই অভ্যাসেও কিন্তু লোম ঝরে পড়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই বলে তার স্নানের জন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত সাবান, শ্যাম্পুর ব্যবহার আবার পোষ্যের ত্বকের স্বাভাবিক তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy