রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে চিংড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণ পেঁয়াজকলি, বাঁধাকপি কিংবা লাউয়ের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে একমুঠো ভুসো চিংড়িই যথেষ্ট। কিন্তু চিংড়ি খেলেই অ্যালার্জি হয়। সারা গা ফুলে, লাল হয়ে ওঠে, চুলকায়। কারও কারও আবার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এত সমস্যা হতে পারে জেনেও পুষ্টিবিদেরা বলছেন চিংড়ির গুণ কিন্তু কম নয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে এই সামুদ্রিক খাবার।
হার্ট, মস্তিষ্ক ভাল রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। খাবারের মাধ্যমে এই উপাদান শরীরে পৌঁছে দিতে সপ্তাহে দু’-এক দিন চিংড়ি রাখা যেতেই পারে। মস্তিষ্কের কোষের গঠন এবং কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি উপাদান হল ফসফোলিপিড। চিংড়ির মধ্যে এই উপাদানটি রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এ ছাড়াও চিংড়ির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১২। এই ভিটামিন মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার হিসাবে কাজ করে। একটি স্নায়ুর সঙ্গে অন্য একটি স্নায়ুর মধ্যে সঙ্কেত আদান-প্রদানের কাজটিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিংড়ির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে জলের পোকা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়ার গতিও শ্লথ করে দিতে পারে।
চিংড়ি উপকারী। তাই বলে রোজ রোজ রগরগে মালাইকারি বা বাটিচচ্চড়ি না খেয়ে ডালিয়া, কিনোয়া, স্যালাড বা ভাপা করেও খাওয়া যেতে পারে। যাঁদের চিংড়ি খেলেই অ্যালার্জি হয়, তাঁরা এই সামুদ্রিক খাবার খাওয়া আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy