Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
isolation quarantine

হাসপাতালে অমিল শয্যা, বাড়িতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করবেন কী ভাবে

কতজনের ঘরে আলাদা ভাবে থাকার সুযোগ আছে? জনে জনে আলাদা ঘর আছে, এমন পরিবারের সংখ্যা ক'টা? তবু যদি বা কোথাও চেষ্টাচরিত্র করে রোগীকে আলাদা ঘর দেওয়া যায়, বাকি যে মানুষগুলি রয়ে গেলেন পরিবারে, তাঁদের কী অবস্থা হবে?

পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এমন ঘরে থাকুন। ছবি: শাটারস্টক

পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এমন ঘরে থাকুন। ছবি: শাটারস্টক

সুজাতা মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ১৩:২৫
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ এখন জল-ভাতের মতো হয়ে গেছে। কখন হবে, কার হবে কেউ জানে না। নিয়ম মেনে ঘরে বসে থাকলেই যে পার পাওয়া যাবে, এমনও নয়।

চিকিৎসা নিয়েও প্রচুর বিভ্রান্তি। সরকারি হাসপাতালে সহজে জায়গা পাওয়া যায় না। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ বেলাগাম, স্থানও অকুলান। ফলে যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ কিন্তু উপসর্গ তেমন নেই বা হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ আছে তাঁদের ঘরেই আর সবার থেকে আলাদা করে আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে। সঙ্গে চলছে চিকিৎসা ও নজরদারি। কিছু কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল হোম কেয়ার সার্ভিসের কথা ঘোষণা করলেও, এখনও পর্যন্ত যা হচ্ছে সবই প্রায় দূরভাষ মারফত। মানুষ সুস্থও হচ্ছেন তাতে।

কিন্তু প্রশ্ন হল, কতজনের ঘরে আলাদা ভাবে থাকার সুযোগ আছে? জনে জনে আলাদা ঘর আছে, এমন পরিবারের সংখ্যা ক'টা? তবু যদি বা কোথাও চেষ্টাচরিত্র করে রোগীকে আলাদা ঘর দেওয়া যায়, বাকি যে মানুষগুলি রয়ে গেলেন পরিবারে, তাঁদের কী অবস্থা হবে? অতি-সংক্রামক রোগটি কি তাঁদের ছেড়ে কথা বলবে? পরিবারে বয়স্ক মানুষ ও শিশু থাকলে তাঁদের কী হবে? তার উপর যদি ফ্ল্যাটে বা ঘিঞ্জি পাড়ায় থাকেন, যে পরিমাণ ঘৃণার সম্মুখীন হতে হবে রোজ, রোগ সেরে যাওয়ার পরও তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। কাজেই, বড় পরিবারে, ফ্ল্যাটবাড়িতে বা পাড়ায় বাস করে ঘরে আইসোলেশনে থাকা সোনার পাথরবাটির সমতূল্য। তবু এভাবেই চিকিৎসা চলছে অনেকের।

আরও পড়ুন: কোভিড ছড়ানোর মূলে বস্তি ও বহুতলে ফারাক নেই! কেন বলছেন ডাক্তারেরা?​

এবার ধরা যাক, পরিবারের অন্যদের কথা, বিশেষ করে যিনি রোগীর সেবা করছেন, তাঁর যদি বা রোগ না-ও হয়, রোগী সেরে যাওয়ার পর তাঁকে থাকতে হবে কোয়রান্টিনে। কোয়রান্টিনে আরও অনেককেই থাকতে হচ্ছে, তা সবাই জানেন, কাজের জায়গায় বা অন্য কোনও ভাবে করোনা রোগীর সংস্পর্শে এলে ১৪ দিনের নিভৃতবাস বাধ্যতামূলক। কোয়রান্টিনে কড়াকড়ি তুলনামূলকভাবে কম, চিকিৎসাও লাগে না। কিন্তু বাকি সব নিয়ম আইসোলেশনের মতোই।

খাবার রেখে দিতে হবে ঘরের বাইরে। সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে। ছবি:শাটারস্টক

কোয়রান্টিন, আইসোলেশন কোনটা কী

করোনা আসার আগে 'কোয়রান্টিন' শব্দটার সঙ্গে আমাদের তেমন পরিচিতি ছিল না। এর উদ্ভব চতুর্দশ শতকে। ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ মহামারির পর্যায়ে পৌঁছে গেলে ভেনিস কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, জাহাজ বন্দরে ঢোকার আগে সমুদ্রে ৪০ দিন নোঙর ফেলে রাখতে হবে। যাত্রীরা জাহাজেই থাকবেন। যদি কোনও সংক্রমণ বহন করে তাঁরা আসেন, শহরে ঢোকার আগেই তার সময়কাল শেষ হয়ে যাবে। রোগ ছড়াতে পারবে না মূল ভূখণ্ডে। এই ৪০ সংখ্যাটিকে ল্যাটিনে 'কোয়রান্তা' বলা হয়। আর অপেক্ষার সময়টিকে 'কোয়রান-তিনো'। সেই থেকে সম্ভাব্য অসুস্থ মানুষকে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে আলাদা করে রাখাকে কোয়রান্টিন বলে। কোভিডের ক্ষেত্রে এর সময়কাল ১৪ দিন। চিকিৎসক মনে করলে কখনও তা আরও বাড়ানো হয়।

কোয়রান্টিনে কাদের রাখা হয়

যাঁদের আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তাঁদের মধ্যে জীবাণু থাকার আশঙ্কা আছে তাঁদেরই কোয়রান্টিনে রাখার কথা। কিন্তু আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত না হলে বেশিরভাগকেই থাকতে বলা হচ্ছে। বিশেষ করে-

• সংক্রামিত হলে যাঁদের চট করে বিপদ হতে পারে। যেমন, যাঁদের বয়স ৬৫-র উপরে, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা, কোনও জটিল ক্রনিক অসুখে ভুগছেন ও কোনও অসুখ বা ওষুধের কারণে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

• আপাতভাবে সুস্থ কিন্তু সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা আছে, যেমন, বাড়িতে এই রোগ হয়েছে বা এমন জায়গা থেকে এসেছেন যেখানে এই রোগ হচ্ছে খুব, কিম্বা কোভিড রোগীর সঙ্গে যাতায়াত বা গল্প করার সময় দু-জনের মধ্যে দূরত্ব ৬ ফুটের কম ছিল ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: আপনার কেনা স্যানিটাইজারে আদৌ ভাইরাস মরছে তো? কী বলছেন চিকিৎসকরা​

অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে হবে আক্রান্ত রোগীদের। ফাইল ছবি।

কোয়রান্টিনে থাকার নিয়ম

• পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এমন ঘরে থাকুন। দরকার হলে এসি চালাবেন। অন্য সময় ঘরে বাতাস চলাচল করতে দিন। তথ্য বলছে, কোনও বদ্ধ ঘরে যদি প্রতি ঘণ্টায় ১০-১৫ বার বাইরের টাটকা বাতাস খেলে যায়, তবে সেই ঘরে বাতাস বাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা কমে।

• ঘরের সঙ্গে সংলগ্ন আলাদা শৌচাগার থাকা দরকার। নিতান্ত না থাকলে ও ঘরে অন্য কারও সঙ্গে থাকতে হলে সব সময় তাঁদের মধ্যে কম করে ৬ ফিটের দূরত্ব রাখতে হবে। মাস্ক পরে থাকতে হবে ২৪ ঘণ্টা। শৌচাগার ব্যবহার করতে হলেও প্রতিবার ব্যবহারের পর স্যানিটাইজ করতে হবে।

• বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা বা অসুস্থ সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে হবে।

• ঘরের বাইরে যাওয়া চলবে না মোটে। বাড়ির বাইরে তো নয়-ই।

• বাড়িতে কোনও রকম সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না।

• কাফ এটিকেট মানতে হবে। হাত ধুতে হবে নিয়ম করে। আশেপাশে কেউ থাকলে মাস্কও পরে থাকতে হবে।

• একটি মাস্ক দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহার করা মাস্ক ব্লিচিং পাউডার মেশানো জল বা ১ শতাংশ হাইপোক্লোরাইট দ্রবণে ডুবিয়ে জীবাণুমুক্ত করে ঢাকা দেওয়া বিনে ফেলতে হবে।

• ঘরের মেঝে এবং শৌচাগার প্রতি দিন ব্লিচিং পাউডার জাতীয় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

• ব্যবহার করা জামাকাপড় সাবান জলে কাচতে হবে রোজ।

• ঘরে খাবার মজুত রাখা জরুরি। সম্ভব হলে হোম ডেলিভারি করানো যেতে পারে।

• শরীরে কুলোলে একটু-আধটু ব্যায়াম করতে পারেন।

• ফোনে বা মেইলে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

• সুষম খাবার, কিছু সাপ্লিমেন্ট ও পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পাশাপাশি কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা, সেটুকুই কেবল খেয়াল রাখতে হয়।

কখন আইসোলেশন

উপসর্গহীন, মৃদু বা মাঝারি উপসর্গযুক্ত কোভিড রোগীর জন্য এই ব্যবস্থা। কাজেই রিপোর্ট পজিটিভ হলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন, ঘরে আইসোলেশনে থাকলে কাজ হবে না হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কম বয়স হলে ও রোগ তত জটিলভাবে দেখা না দিলে বাড়িতেই আলাদা করে থাকা ভাল।

বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার জন্য রোগী, তাঁর চিকিৎসক, তিনি যে পুর এলাকায় থাকেন সেখানে কোভিড চিকিৎসার দায়িত্বপ্রাপ্ত যে চিকিৎসক রয়েছেন, সবার কাছ থেকে লিখিত সম্মতিপত্র নিতে হবে। এছাড়া যিনি রোগীর দেখাশোনা করবেন বলে ঠিক করেছেন, তাঁর কাছ থেকেও লিখিত অনুমতিপত্র নেওয়া দরকার। বাড়িতে আলো-বাতাসযুক্ত আলাদা ঘর ও শৌচাগার থাকতে হবে। এবং কোনওভাবেই যাতে বাড়ির অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বাড়িতে এ সমস্ত সুযোগ না থাকলে বা বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ বা গর্ভবতী ও শিশু থাকলে স্বাস্থ্য দফতরের সেফ হাউসে থাকার জন্য আবেদন করতে পারেন। বয়স বেশি হলে ও কো-মর্বিডিটি থাকলে বেসরকারি হাসপাতালের স্যাটেলাইট ফেসিলিটি সেন্টার বা অবজারভেশন ওয়ার্ডেও থাকা যেতে পারে। তবে তার জন্যও নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। এছাড়া কিছু বেসরকারি হাসপাতালের হোম কেয়ার প্যাকেজ আছে। সে সবের খোঁজও আগে থেকে নিয়ে রাখুন।

আরও পড়ুন: বাজারচলতি ইউভি ডিভাইসে আদৌ করোনা ধ্বংস সম্ভব কি?

আইসোলেশনে থাকা রোগীর চিকিৎসা

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সব্যসাচী সেন জানিয়েছেন-

• এই সময় আলাদা শৌচাগার আছে এমন ঘরে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবেন। নইলে ব্যবহারের পর শৌচাগার স্যানিটাইজ করতে হবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এমন ঘরে থাকতে পারলে ভাল।

• দিনে দু-তিন বার নুন-গরমজলে বা জীবাণুনাশক মেশানো গরম জলে গার্গল করবেন। স্টিম নেবেন দিনে দু-তিন বার। স্নান করবেন গরম জলে।

• ভিটামিন সি ও জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খাবেন নিয়ম করে। চিকিৎসক মনে করলে আরও কিছু সাপ্লিমেন্ট দিতে পারেন।

• অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ লাগে অনেক সময়ই। অ্যান্টিবায়োটিকও দেওয়া হয়।

• জ্বর থাকলে দিনে ৩ বার প্যারাসিটামল খেতে হবে।

• খুব কাশি হলে কিছু বিশেষ কাফ সিরাপ দেওয়া হয় কখনও।

• দিনে ৩-৪ লিটার জল, গরম স্যুপ, দু-চার কাপ চা খাওয়া দরকার।

• ঘরে বানানো হালকা সহজপাচ্য খাবার খাওয়া একান্ত জরুরি। ঘরে বানানো সম্ভব না হলে ভাল হোম ডেলিভারিতে অর্ডার করে আনিয়ে নেবেন।

• পর্যাপ্ত ফল-শাকসবজি ও প্রোটিন খাওয়া বাধ্যতামূলক।

• দই বা ঘোল খেতে পারলে খুবই ভাল।

• ভাল ঘুম হওয়া দরকার। কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

• নজর রাখতে হবে উপসর্গের গতিপ্রকৃতির দিকে। চিকিৎসককে নিয়মিত রিপোর্ট করতে হবে। জ্বর-কাশি কমার বদলে বাড়তে থাকলে বা বুকে হালকা চাপ ধরলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারকে জানাবেন।

• মাঝে মাঝেই গভীরভাবে শ্বাস টেনে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ধরে রাখতে পারলে জানবেন, সব ঠিক আছে। এর সঙ্গে ছোট একটা পালস অক্সিমিটার দিয়ে দিনে ৫-৬ বার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মেপে দেখবেন। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর উপর থাকলে চিন্তা নেই। আসলে অনেক সময় রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় না। কিন্তু শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। একে বলে হ্যাপি হাইপোক্সিয়া। এ সব ক্ষেত্রে আচমকা বিপদ ঘটে যায়।

• চিকিৎসক যদি মনে করেন, ঘরে কিছু এমারজেন্সি ওষুধ রাখতে বলবেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার কথাও বলতে পারেন।

• রোগ তার নিজের নিয়মে সারবে। যত মন হালকা রাখতে পারবেন, তত তাড়াতাড়ি সারবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, সব নিয়ম যদি মেনে চলেন, বিপদ হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু খুব একটা নেই এ রোগে।

• পুরোপুরি সুস্থ হতে এক থেকে তিন সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। অনেকের আগে সারে। কারও আরেকটু দেরি হয়। এই পুরো সময়টা ধৈর্য ধরে রাখা খুব প্রয়োজন।

• আত্মীয়-স্বজনের উচিত রোগীকে লাগাতার মনোবল জুগিয়ে যাওয়া। কাছাকাছি আসা তো সম্ভব নয়। কিন্তু ফোনে যেন যোগাযোগ থাকে।

• সুস্থ হওয়ার পর কম করে ১৫ দিন বাড়িতেই থাকতে হবে। এ সময়ও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুন।

আরও পড়ুন: মশার কামড়ে কি কোভিড হতে পারে?​

শরীর সায় দিলে ব্যায়াম অভ্যাস করতে হবে। ছবি: শাটারস্টক

সেবা-যত্নের নিয়ম

• রোগীর সেবা যিনি করছেন, তাঁকে ঘন ঘন হাত ধোওয়া, ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরে থাকা, রোগীর ঘরে বিশেষ না ঢোকা, সে সব ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয়, রোগীর খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস দরজার বাইরে রেখে নক করে সরে গেলে ও রোগী নিজে সে সব নিয়ে, খাওয়ার পর বাসন ধুয়ে আবার দরজার বাইরে রেখে দিলে। সেই বাসন আবার সাবান-জলে ভাল করে ধুয়ে আলাদা করে রাখতে হবে।

• রোগীর বিছানা ও জামা-কাপড় রোগী নিজে পরিষ্কার করে নিলে সবচেয়ে ভাল। না হলে যথাযথ সাবধানতা নিয়ে আলাদা করে সাবান-জলে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

• রোগীর ঘর ও ব্যবহৃত জিনিস ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের দ্রবণ দিয়ে দিনে একবার মুছে দিতে হবে। টয়লেটও ধুতে হবে।

• সেবা যিনি করছেন, তাঁর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। কাজেই তাঁকেও বাড়ির অন্যদের থেকে একটু আলাদাভাবে থাকতে হবে। ভালভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে, বিশ্রাম নিতে হবে, ঘুমতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো কিছু সাপ্লিমেন্টও খেতে হতে পারে, যা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি যোগাবে। রোগী সেরে গেলে তাঁকে কোয়রান্টিনে যেতে হবে, সেই মানসিক প্রস্তুতিও যেন থাকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy