অনেক সময়ে বহু শিশুর পেটে দুধ সহ্য হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু জন্ম দেওয়াই নয়, শিশুকে যত্নের সঙ্গে বড় করা এক গুরুদায়িত্ব। সদ্যোজাত থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠার সময়ে বিভিন্ন অসুখ করতে পারে শিশুর। আর এর মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, সেটি হল শিশুর পেটেব্যথা ও হজমের সমস্যা। এর কারণ হল, এই অবস্থায় নবজাতকের পরিপাকতন্ত্র অনেকটাই অপরিণত থাকে।
পরিপাকতন্ত্র অপরিণত থাকায় নবজাতকদের পেটেব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, বমি, এ সব দেখা যায়। তবে এ কোনও বিরল ঘটনা নয়। প্রতি তিন জন শিশুর মধ্যে এক জন সদ্যোজাতের পেটে ব্যথার সমস্যা হয়। কিন্তু শিশু অবস্থা থেকে ঠিকমতো ব্যবস্থা না নিলে এগুলি তার শরীরে স্থায়ী ভাবে থেকে যায়।
শিশু পেটেব্যথায় কেঁদে ওঠে। কিন্তু দেখবেন, শিশু কি দিনে ৩ ঘণ্টার বেশি কাঁদে! তা হলে বুঝবেন যে অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না। শিশুর পেটে ব্যথাকে আসলে কোনও রোগ বলা যায় না। বরং তা একাধিক উপসর্গের সমন্বয়। শিশুর জন্মের ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যা শুরু হতে পারে। কেঁদেই শিশু এই সমস্যার জানান দেয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রতি তিন জন শিশুর মধ্যে এক জন সদ্যোজাতের পেটে ব্যথার সমস্যা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক সময়ে বহু শিশুর পেটে দুধ সহ্য হয় না। ফলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স ও অ্যালার্জি থেকেও পেটে ব্যথা হয়। আবার অন্ত্রে ব্যাক্টেরিয়া জনিত সমস্যা হলেও শিশুর পেটে ব্যথা শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে শরীরে প্রোবায়োটিক প্রয়োজন হয়। মাতৃদুগ্ধে প্রোবায়োটিক থাকে। এটি ল্যাকটোব্যাসিলাস রিউটেরি বা এল রিউটেরি নামে পরিচিত। ফলে মাতৃদুগ্ধ খেলে শিশু পেটে ব্যথার কষ্ট থেকে অনেকটাই রেহাই পায়।
আরও পড়ুন: এই সব খাবার রাখুন পাতে, উচ্চ রক্তচাপের ভয় কাটবে ম্যাজিকের মতো
আরও পড়ুন: এই গরমে যত্ন নিন মায়েরা
মাতৃদুগ্ধের প্রোবায়োটিকস শরীরে কিছু ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে যা পেটে ব্যথা ও শিশুর কান্না কমায়। অন্ত্র যত সুস্থ থাকবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে শিশু সুস্থ ও সতেজ ভাবে বেড়ে উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy