চুলের জন্য খুবই উপকারী তিলের তেল। বাজারে যখন এত রকম বাহারি প্রসাধনী আসেনি, তখন চুল পড়া কমাতে এক সময়ে মা-ঠাকুরমারা তিলের তেলেই ভরসা রাখতেন। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে চুল পড়া কমানো, অকালপক্বতা রোধে তিলের তেলের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথায় খুশকির সমস্যাও দূর হবে। মাথার ত্বকে তিলের তেল মালিশ করলে রক্ত চলাচল ভাল হবে। মাথার ত্বকে সংক্রমণজনিত অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এই তেলে, যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। মাথার ত্বকে ব্রণ, ফুস্কুড়ি হয় অনেকের। তালুতে প্রদাহও হয়। তিলের তেল মাথার তালুতে র্যাশ, চুলকানি বা যে কোনও সমস্যা দূর করতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস— যা চুলের গোড়া মজবুত করে। তিলের তেলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা অকালে চুল পাকার সমস্যা দূর করে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে মাথায় মাখবেন?
তিলের তেল সরাসরি মাথায় মাখা যায়। তবে যে কোনও কেরিয়ার অয়েল, অর্থাৎ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলেও ক্ষতি নেই। এক চামচ তিলের তেলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। মাথার তালুতে ভাল করে মাসাজ করতে হবে তেল। তার পর একটি তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন, কম দিনেই উপকার পাচ্ছেন।