গরমে মাথার ত্বকে ঘাম জমে। সেখান থেকে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। চুল ঝরতে শুরু করে। তবে তার চেয়েও বেশি নাজেহাল করে মাথার ত্বকের ফুস্কুড়ি। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’ জানাচ্ছে, মাথার ত্বকে ব্রণ, অ্যালার্জিজনিত সংক্রমণ, সিস্ট, সোরিয়াসিস, এমনকি সেবোরিয়েক ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। গরমে এই সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে ছোটদের মাথায় ঘাম বসে গিয়ে ফুস্কুড়ি বা র্যাশের সমস্যা বাড়ে। ছোটরা অনেক সময়েই চুলকে ফেলে, ফলে তা আরও বেড়ে যায়। কী ভাবে এই সমস্যা দূর হবে, তা জেনে রাখুন বাবা-মায়েরা।
প্রথমেই জেনে রাখা ভাল শিশুর চুল ভাল রাখতে ডায়েটে নজর দিতেই হবে। অনেক সময়ে সঠিক পুষ্টির অভাবেও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সেখানে পিএইচের মাত্রার তারতম্য ঘটে। ফলে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। তখন মাথার ত্বকে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দেখা দেয়। ছোটদের খাবারে প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের যাতে ঘাটতি না হয়, সে দিকে নজর রাখতেই হবে। সে জন্য মাছ-মাংস, ডিমের পাশাপাশি ডাল, বিন্স, শাকসব্জি, কাঠবাদাম খাওয়াতে হবে।
আরও পড়ুন:
এই সময়ে মাথায় তেল না মাখানোই ভাল। বদলে অ্যালো ভেরার রস মাখাতে পারেন। এতে চুলকানি, জ্বালা কমবে। ফুস্কুড়ির জায়গায় মধু ও হলুদ লাগাতে পারেন। কাঁচা হলুদ বেটে তার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে। ১ ঘণ্টা পরে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিতে হবে।
নিম তেল বা রসুনের তেলও খুবই উপকারী। নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে মাথার ত্বক ভাল থাকবে। আরও ভাল হল ওট্মিল। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে মাখাতে পারেন। এতে প্রদাহ কমবে। মাথার ত্বকের মৃতকোষ উঠে যাবে, ফলে ফুস্কুড়ি তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।