সর্দিকাশি নিরাময়ে শিশুদের মধু খাওয়ানো হয়। আর বড়রা সংক্রমণজনিত সর্দিকাশি সারাতে শীতভর আমলকি খান। দু’টিই শরীরের জন্য উপকারী, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমলকি এবং মধু একসঙ্গে খেলে তার কার্যশক্তি দ্বিগুণ হয়ে ওঠে।
আমলকিতে ভিটামিন সি থাকে ভরপুর মাত্রায়, যা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। রক্তে শর্করা যাঁদের বাড়তির দিকে, তাঁরাও নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন। অন্য দিকে মধু রোগ প্রতিরোধক। আবার, মধুতে যে পরিমাণ প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, তা এনার্জি বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে মধু। আর কী কী উপকার হয়?
আরও পড়ুন:
১) আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি। মধু আবার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানে ভরপুর। এই দু’য়ের জুটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে। ফলে মরসুমি ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণজনিত সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে এই টোটকার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
২) আমলকি এবং মধুর মিশ্রণে অন্ত্র ভাল থাকে। অম্বল, পেটফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি করে এই জুটি।
৩) ভিটামিন সি ত্বক এবং চুল, দুইয়ের জন্যই ভাল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আমলকি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানে ভরপুর মধু, ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
৪) রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গোটা শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এই জুটি।
৫) আমলকি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। আর মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা, যা তৎক্ষণাৎ শরীরকে চনমনে করে তুলতে সাহায্য করে। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতেও মধু এবং আমলকির জুটি দারুণ কাজের।