উৎসব-অনুষ্ঠান থাকলে কিংবা শখে এক-আধ বার সালোঁয় গিয়ে চুল সোজা করিয়েছেন। কিন্তু এখন পেশার তাগিদে প্রায় রোজই স্ট্রেটনার ব্যবহার করতে হয়। না হলে হাওয়া লেগে রুক্ষ চুল কাকের বাসায় পরিণত হয়। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরেও কেশরাশি কিছুতেই বশ মানতে চায় না।
কিন্তু রোজ অতিরিক্ত তাপ ব্যবহার করলে যে চুলের ক্ষতি হয়, তা জানেন। তাই দাম দিয়ে ‘হিট প্রোটেক্ট স্প্রে’-ও কিনেছেন। তা ব্যবহার করলে কিছুটা হলেও চুলের ক্ষতি আটকানো যায়। তবে আরও কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে বিষয়টি সহজ হবে।
আরও পড়ুন:
১) হাতে সময় কম। ভিজে চুলেই গরম আয়রন চালিয়ে দিলেন। ব্যস, এটুকুতেই চুলের যাবতীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ভিজে চুল সোজা করতে অতিরিক্ত তাপ দিতে হয়। ফলে চুলে প্রোটিনের যে পরত থাকে, তা নষ্ট হয়ে যায়।
২) নিয়মিত চুলে স্ট্রেটনার, আয়রন ব্যবহার করা খারাপ। কিন্তু পেশার তাগিদে, চুলে নানা রকম কায়দা করার জন্য নিয়মিত এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন অনেকে। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি হলে একটু বেশি দাম দিয়ে ভাল সংস্থার যন্ত্রপাতি কেনাই ভাল। তাতে চুলের ক্ষতি কিছুটা হলেও আটকে দেওয়া যায়।
৩) প্রতি দিন যন্ত্র দিয়ে চুল সোজা না করে, মাঝেমধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতির উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। আর তেমন প্রয়োজন হলে সপ্তাহে দু’দিন নির্দিষ্ট করে রাখুন। সেই দিনগুলো চুল সোজা করবেন। চুলে জল না দেওয়া পর্যন্ত একটু সাবধানে রাখতে পারলে চুল সোজাই থাকবে। আবার স্ট্রেটনার ব্যবহার করতে হবে না।