বাজারচলতি রাসায়নিকের চেয়ে হেনা অনেক ভাল। কারণ তা সম্পূর্ণ ভাবে প্রাকৃতিক। পাকা চুল ঢাকতে অনেকেই এই ভেষজ মাথায় মাখেন। তেলতেলে চুল শ্যাম্পু করার পরেও চুপসে থাকে। হেনা করলে এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। খুশকি দূর করতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি ব্যবহার করেন অনেকে। তবে কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, হেনা প্রাকৃতিক হলেও তাকে একেবারে চোখ বন্ধ করে ভরসা করার কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন:
নিয়মিত হেনা করলে চুলের কী কী ক্ষতি হতে পারে?
১) অতিরিক্ত হেনা করলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। মেহন্দি পাতায় ‘ট্যানিন’ নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা মাথার ত্বকে থাকা সেবাম বা তেলতেলে ভাব নষ্ট করে। রুক্ষ চুল দুর্বল হয়ে সহজেই ঝরে পড়ে। দিনে দিনে তা জেল্লাও হারায়।
২) চুলের স্বাভাবিক টেক্সচার নষ্ট করে দিতে পারে হেনা। দিনের পর দিন হেনা করলে চুলে তার আস্তরণ পড়ে। আপাত ভাবে দেখলে মনে হয় বুঝি চুলের ঘনত্ব বেড়েছে, তবে আদৌ তা নয়। উল্টে অযাচিত এই ভারে চুলের ক্ষতি হয়।
৩) অনেকেই মনে করেন, হেনা করলে চুল মজবুত হয়। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, আসলে বিষয়টা উল্টো। মাথার ত্বক এবং চুল থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় হেনা। দিন দুয়েক চুলে ওই ফোলা ভাব থাকে। সেই প্রভাব কিছু দিনের মধ্যেই ফিকে হতে আরম্ভ করে। কয়েক দিনের মধ্যে তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। আর্দ্রতা ফেরাতে মাথার ত্বককেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। চুল পাতলা হয়ে যাওয়া কিংবা চুল ঝরে পড়ার সমস্যাও সমানতালে বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন:
৪) কারও কারও ক্ষেত্রে হেনা ব্যবহারে অ্যালার্জিও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাথায় চুলকানি, চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) প্রাকৃতিক হলেও হেনার গুণগত মানের তারতম্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের চুলে তার প্রভাব ভিন্ন হয়। অনেক সময়ই কোন ধরনের চুলে হেনার রং কী হবে, আগে থেকে বোঝা যায় না।