ছবি: সংগৃহীত।
সর্ষে খেলে অম্বল হয়, পোস্ত খেলে ঘুম পায়! তা সত্ত্বেও সর্ষেবাটা ছাড়া ইলিশ মাছ আর পোস্ত ছাড়া আলু-ঝিঙের তরকারি খেতে ভাল লাগে না। রান্নায় সর্ষে বা পোস্তর ব্যবহার নতুন নয়। তাই প্রায় সব হেঁশেলেই সর্ষে-পোস্ত থাকে। সাধারণ রান্নায় সর্ষে কিংবা পোস্ত দিলে তার স্বাদ খোলতাই হয়। সর্ষে খেলে গলা-বুক জ্বালা করে। তাই বহু রাঁধুনি রান্নায় সর্ষের বিকল্প হিসাবে পোস্ত ব্যবহার করে থাকেন। তাতে ঝাঁজ বা স্বাদের বিস্তর ফারাক থাকলেও খেতে কিন্তু খারাপ লাগে না।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রান্না স্বাদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সর্ষে এবং পোস্ত, দুইয়েরই পুষ্টিগুণ রয়েছে। রান্নায় সর্ষের বিকল্প পোস্ত হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে তা কখনও একে অপরের পরিপূরক নয়। সর্ষে কিংবা পোস্ত খেলে শরীরের কী উপকার হয়?
সর্ষের মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম সর্ষেদানায় ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ৫০৮, প্রোটন রয়েছে ৬ গ্রাম, ফ্যাটের পরিমাণ ৩৬ গ্রাম এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে প্রায় ২ গ্রামের মতো। সর্ষের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
নিয়মিত সর্ষে খেলে কী উপকার হবে?
১) সর্ষের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। গ্লুকোসিনোলেটস এবং আইসোথিয়োকায়ানেটস নামক দু’টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
২) প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে সর্ষে।
৩) অনেকেই বলেন, সর্ষে খেলে অম্বল হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সর্ষের মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে তা আসলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪) সর্ষের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল রাখার জন্য এই দু’টি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ।
৫) সর্ষের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি। এই ভিটামিনটি বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে।
পোস্তর মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম পোস্ত থেকে প্রায় ৫২৫ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়। প্রোটিন প্রায় ১৮ গ্রাম। ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৪২ গ্রাম। পোস্ততে রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসি়ড। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় ২৮ গ্রাম। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রনের মতো খনিজ রয়েছে পোস্ততে।
নিয়মিত পোস্ত খেলে কী উপকার হবে?
১) পোস্তর মধ্যে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি। হাড় এবং দাঁতের যত্নে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় পোস্তকে রাখা যেতেই পারে।
২) ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল রাখে। পোস্ততে এই দু’টি উপাদানই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
৩) পোস্তর মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজম ব্যবস্থার জন্য ভাল। অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে পোস্ত।
৪) লোহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পোস্ত। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে পোস্ত খাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy