‘গান শট’ খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত
মেয়েদের কান ফোটানোর রেওয়াজ বহু পুরনো দিন থেকে চলে আসছে। ছোট থাকতেই মেয়ের কান ফুটিয়ে দেন অনেক মা-বাবাই। এ যেন এক বড় দায়িত্ব। ছোটবেলায় কানের লতি পাতলা থাকে। ফলে কান ফোটানোও অনেক সহজ হয়। সেই যে কোন ছোটবেলায় সাহস করে কান ফুটিয়ে নিয়েছেন, তার পর থেকে কান ফোটানোর সব ভয়কে জয় করে নেন অনেকেই। সেই কারণে অনেকের কানেই শোভা পায় একের অধিক দুল। কানেক লতি জুড়ে সার দিয়ে সে সব থাকে। দেখতে যে মন্দ লাগে, তা নয়। তবে কানের দুল পরার চল ইদানীং আর মেয়েদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছেলেদেরও ফ্যাশনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে দুল। রাস্তাঘাটে কিংবা পরিচিত বৃত্তের অনেক পুরুষকেই কানের পরতে দেখে থাকবেন।
কান ফোটানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আগে সূচ ব্যবহার করে কান ফোটানো হত। সময় বদলেছে। কান ফোটানোর উপকরণেও এসেছে বদল। পার্লারে গিয়েই কান ফোটান বেশির ভাগ। তা ছা়ড়া, শহরে বেশ কিছু ‘পিয়ার্সিং’ স্টুডিয়ো রয়েছে। সেখানেও নাক এবং কান ফোটানো। এখন অধিকাংশ স্টু়ডিয়ো এবং পার্লারগুলিতে কান ফোটাতে সূচের বদলে বন্দুক ব্যবহার করা হয়। ‘গান শট’ খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি। বন্দুকের মতো একটি যন্ত্র দিয়ে এটি করা হয়। বন্দুকের মুখে কানের কিংবা নাকের রেখে ট্রিগার টিপে দিলেই কাজ শেষ। পিঁপড়ে কামড়ানোর মতো একটা অনুভূতি হয়। সূচ দিয়ে ফোটানো বেশ ঝক্কির। সে ক্ষেত্রে নাক কিংবা কানের পাতা ফুটো করার পরেই কানের দুল পরা যায় না। প্রথমে ওষুধ মাখানো সরু সুতোয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিছু দিন পর ব্যথা কমে এলে তবে গিয়েই পরানো হয় কানের দুল। কিন্তু গান শটের ক্ষেত্রে সে সব ঝক্কি নেই। নাকে কিংবা কানে — গয়না সরাসরি বিঁধে যায়।
গান শটের ক্ষেত্রে তেমন কোনও পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার পড়ে না। যেখানে ফুটো করতে চাইছেন, প্রথম সেই অংশে একটি জেল ক্রিম মাখানো হয়। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর যন্ত্র দিয়ে ফুটো করা হয়। ফোটানোর পর আবার জেল দিয়ে রাখা হয়। পর পর সাত দিন এই জেল ক্রিম ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। পার্লারে গিয়ে গান শটের খরচও বেশি নয়। ১০০০-১৫০০ টাকা মতো লাগে। সংক্রমণের ভয়ও কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy