শেফিল্ড শিল্ড না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটার উসমান খোয়াজা। কুইন্সল্যান্ডের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর মাঠে না নামা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোয়াজা। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইয়ান হিলি।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেফিল্ডের ম্যাচটি কুইন্সল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের ফলের উপর কুইন্সল্যান্ডের ফাইনালে ওঠা নির্ভর করছে। তাও খোয়াজা না খেলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। রমজ়ান মাসে পারিবারিক সঙ্গকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতার এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার কী ভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হিলি। শুধু প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটারই নন, খোয়াজার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন কুইন্সল্যান্ডের সমর্থকেরাও। পেশাদার ক্রিকেটারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ভাল ফর্মে রয়েছেন খোয়াজা। কুইন্সল্যান্ডের হয়েও ধারাবাহিক ভাবে রান করছেন। স্বভাবত ফর্মে থাকা ওপেনারকে ছাড়াই প্রথম একাদশ বাছতে হবে কুইন্সল্যান্ডকে। বিতর্ক তৈরি হলেও খোয়াজার পাশেই দাঁড়িয়েছেন কুইন্সল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, সামনের লম্বা টেস্ট মরসুমে তরতাজা থাকতে চাইছেন খোয়াজা। বাঁহাতি ওপেনার চান না তরুণদের জায়গা আটকে রাখতে। সম্ভবত আর খুব বেশি দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন না খোয়াজা। তাই ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় তরুণদের সুযোগ দিতে চেয়েছেন। কুইন্সল্যান্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটজীবনের আগামী ন’-দশটি টেস্টকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছ খোয়াজা। গত মরসুম শেষ হওয়ার পরই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছিল। তা ছাড়া ও মনে করেছে মরসুমের অধিকাংশ সময় কুইন্সল্যান্ডের যে খেলেছে, তারই খেলা উচিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। কারও জায়গা আটকে রাখতে চায়নি। কাউকে বঞ্চিত করতে চায়নি। খোয়াজার এই সিদ্ধান্ত কুইন্সল্যান্ডের ভবিষ্যৎ দলের গভীরতা এবং শক্তি বৃদ্ধির সহায়ক।’’
আরও পড়ুন:
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য এই বিতর্কে মুখ খোলেনি। খোয়াজা নিজেও কোনও মন্তব্য করেননি। তবু শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো নিয়ে সরগরম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলের একাংশ।