কুখ্যাত জঙ্গি আবু কাতালের হত্যাকারী কে? পাকিস্তানে শনিবার গভীর রাতে লশকর জঙ্গিনেতার খুনের পর থেকেই এই প্রশ্ন জোরালো হতে শুরু করেছে। কাতালের সর্ব ক্ষণের সঙ্গী দেহরক্ষীরা। শনিবার রাতেও তাঁরা কাতালের সঙ্গেই ছিলেন বলে সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, এই জঙ্গিনেতাকে পাক সেনা সর্ব ক্ষণের জন্য নিরাপত্তা দিত। যেখানেই যেতেন নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই থাকতেন কাতাল।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে ঝিলম এলাকায় গিয়েছিলেন কাতাল। তাঁর সঙ্গে ছিল লশকরের কয়েক জন জঙ্গি। এ ছাড়াও সাধারণ পোশাকে তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসাবে ছিলেন কয়েক জন পাক সেনাকর্মীও। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেও কী ভাবে খুন হয়ে গেলেন লশকর নেতা কাতাল? সন্দেহ বাড়ছে এখান থেকেই।
আরও পড়ুন:
জল্পনা চলছে, তা হলে কি অন্তর্ঘাতের শিকার হয়ে গেলেন কাতাল? ২০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেল আততায়ীরা। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা সত্ত্বেও এই হামলা রোখা গেল না কেন, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এটি পরিকল্পিত খুন। সন্দেহ করা হচ্ছে, কাতালের গতিবিধির আগাম খবর ছিল হামলাকারীদের কাছে।
ঘটনাচক্রে, গত ৮ মার্চ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ঘনিষ্ঠ এবং মদতদাতা মুফতি শাহ মীরকে গুলি করে হত্যা করা হয় পাকিস্তানে। মীরের মৃত্যুর পরই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি বন্ধুর হাতেই খুন হতে হল বন্ধুকে? মীরের হত্যার নেপথ্যে কি আইএসআই-এর হাত রয়েছে? এই সন্দেহও পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই জোরালো হতে শুরু করে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, আইএসআই-এর ‘ঘনিষ্ঠ’ হলেও সম্প্রতি মীরের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থার দূরত্ব বাড়ছিল। চলছিল অন্তর্দ্বন্দ্বও। ঘটনাচক্রে, মীর যে রাজনৈতিক দল জামাইত উলেমা-এ-ইসলাম (জেইউআই)-এর সদস্য, গত সপ্তাহেই ওই দলের আরও দুই সদস্য রহস্যজনক ভাবে খুন হন। সে ক্ষেত্রেও হামলাকারীরা বাইকে করেই এসেছিল এবং খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। যদিও পুলিশ এই তিনটি ঘটনাকে সুপরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি করেছে।
কিন্তু লশকর নেতা কাতালের হত্যা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এই হত্যার নেপথ্যে কে বা কারা? কী ভাবেই বা এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের লক্ষ্যে সফল হল হামলাকারীরা? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে রাওয়ালপিন্ডি থেকে করাচি।