আইসক্রিম বাড়ায় মস্তিষ্কের ক্ষমতা। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
ভাবুন তো, সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক স্কুপ আইসক্রিম! গরম কাল তো বটেই, কম-বেশি সারা বছরই যদি এমন জোটে, তা হলে তো কথাই নেই। আইসক্রিমপ্রেমীদের কাছে এ যেন হাতে চাঁদ পাওয়া।
তবে এমন আর জোটে কবে, রোজই তো ঘুম ভেঙে হয় একঘেয়ে গরম চা নয়তো খুব স্বাস্থ্য সচেতন হলে গরম জলে লেবু-মধু। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা হয়তো এইটুকু পড়েই ভাবছেন, সাতসকালে আইসক্রিম! এ আবার কোন দেশি নিয়ম?
কিন্তু এই নিয়মের কথাই বলছে টোকিওর কিওরিন বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার একদল গবেষকের দাবি, সকালে উঠেই ব্রেকফাস্টে চা-কফির বদলে বরং খান এক স্কুপ আইসক্রিম। তাতেই মস্তিষ্কের কোষ সজীব হবে। বাড়িয়ে তুলবে কাজ করার ক্ষমতা। সারা দিন যাঁরা মাথা খাটানোর কাজ করে থাকেন, তাঁদের জন্য এই উপায় অব্যর্থ, বলছেন তাঁরা। এমনকি, অফিসের কাজকে আরও নিখুঁত করে তুলতেও এই আইসক্রিমের জুড়ি নেই।
আরও পড়ুন
শেষ পাতে মিষ্টি খান? জানেন তা আদৌ ঠিক না ভুল?
রোজই করছেন এই মারাত্মক ভুল? এতেই বাড়ছে মেদ
ফলের ফ্লেভার ও সুগার ফ্রি আইসক্রিমে ভোট দিচ্ছেন চিকিৎসকরাও। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
গবেষণাটি চালাতে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে দু’টি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলেন তাঁরা। একটি দলকে একটানা কয়েক দিন ব্রেকফাস্টে নিয়মিত আইসক্রিম খাওয়ান। এর পর দুই দলকেই মাথা ঘামিয়ে করতে হয়, এমন কিছু কাজ দেন তাঁরা। দেখা যায়, যাঁদের ব্রেকফাস্টে আইসক্রিম দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা তুলনামূলক ভাল কাজ করেছেন, আবার কিছু দিন পর তাঁদেরই আইসক্রিম দেওয়া বন্ধ হলে কাজের গতি শ্লথ হয়, টুকটাক ভুলচুকও দেখা যায়।
এই নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, আইসক্রিমে এমনিতেই মানসিক চাপ কমায়, আইসক্রিম শরীরের নানা উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়ায়, মস্তিষ্কের কোষ সক্রিয় হয় এমন কথা সত্যিই। আইসক্রিম খেলে ক্লান্তিও কমে, সে-ও ঠিক, তবে রোজ ব্রেকফাস্টে আইসক্রিম ওবেসিটির কারণ হতে পারে।তাই আইসক্রিম খেলে চেষ্টা করুন কম ক্রিম, কোনও রকম সস ছাড়া খেতে। আজকাল সুগারলেস আইসক্রিমও পাওয়া যায়। সে সব খেলে লাভই হবে।
সুতরাং ঘুম ভেঙে কাজে অনীহা এলেই এক স্কুপ আইসক্রিমেই হোক বাজিমাত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy