ঝাড়খণ্ড, বিহারে আগামীকালের ভোট-যুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত শিবু সোরেন, বাবুলাল মরাণ্ডি, শাহনওয়াজ হুসেন, মহম্মদ তসলিমুদ্দিনের মতো ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীরা।
এ বার ঝাড়খণ্ডে শেষ দফার নির্বাচন। ভোট গ্রহণ হবে রাজমহল, দুমকা, গোড্ডা, ধানবাদে। ইভিএম-বন্দি হবে ৭২ জন প্রার্থীর ভবিষ্যৎ। বিহারে ভোট সাতটি কেন্দ্রে। ভাগলপুর, বাঁকা, সুপৌল, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া এবং কটিহারে। দু’টি রাজ্যেই কয়েকটি কেন্দ্র মাওবাদী-অধ্যুষিত। সে দিকে তাকিয়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। জঙ্গি-প্রবণ এলাকায় ভোটকর্মীদের হেলিকপ্টারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওই সব লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে টহল দিচ্ছেন জওয়ানরা।
ঝাড়খণ্ডের দুমকায় আগামীকাল সম্মুখ-সমরে লড়বেন রাজ্যে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জেএমএম শীর্ষ নেতা শিবু সোরেন এবং জেভিএম-প্রধান বাবুলাল মরাণ্ডি। ওই দুই প্রার্থীর লড়াই নিয়েই সরগরম সাঁওতাল পরগনা।
দুই মহারথীর লড়াইয়ে ভোট-কাটাকুটিতেই জয়ের রাস্তা দেখছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে ১৮ হাজার ভোটে পরাজিত হন বিজেপি-র সুনীল সোরেন। তিনি এ বারও সেখানে লড়ছেন। ময়দানে রয়েছেন কংগ্রেসের ফুরকান আনসারিও।
অন্য দিকে, বিহারের মুখ্যসচিব অশোককুমার সিনহা বলেছেন, “রাজ্যে প্রথম দফায় মাওবাদী কবলিত এলাকায় ভোট হয়। প্রশাসনের কাছে সেটি এক রকমের চ্যালেঞ্জ ছিল। এ বার গঙ্গার দিয়ারা এলাকায় সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোও ততটাই কঠিন।’’
বিহারে তৃতীয় দফায় ১ কোটি চার লক্ষ ভোটার। বুথ রয়েছে ৯ হাজার ৮৪০টি। পরিচিত প্রার্থীদের মধ্যে ভাগলপুরে বিজেপি-র শাহনওয়াজ হুসেন, আরারিয়ায় আরজেডি-র মহম্মদ তসলিমুদ্দিন, কাটিহারে এনসিপির তারিক আনোয়ার রয়েছেন।
নদী-সংলগ্ন দিয়ারার বাসিন্দারা ভাগলপুর এবং সুপৌল কেন্দ্রের ভোটার। জনবসতিগুলির আশপাশ বালিতে ঢেকে থাকায় সেখানে ভোট-প্রহরায় মোতায়েন করা হয়েছে ঘোড়সওয়ার পুলিশ বাহিনী। জলপথে নজরদারির জন্য থাকবে যন্ত্র-চালিত নৌকাও। যোগাযোগের সমস্যায় দিয়ারার নিয়মিত নজরদারি রাখতে পারে না পুলিশ। তার জেরে জায়গাটি কার্যত অপরাধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’। সেখানে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করতে তাই বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। তা ছাড়া বাঁকার মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার দিকেও নজর রাখছে কমিশন। আকাশপথে কপ্টারে টহল দেবেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রগুলিতে মোতায়েন থাকবে ২২১ কোম্পানি বাহিনী। তার মধ্যে ১৪৭ কোম্পানি সিআরপি, বিএসএফ সিআইএসএফ এবং আরপিএফ জওয়ান থাকবেন। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ২৭ হাজার ৫০০ সশস্ত্র কর্মী, ৭ হাজার হোম গার্ডও বহাল করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy