Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ত্রিপুরা বাঁচাতে ডাক ইয়েচুরির

বৈঠকে ইয়েচুরি বুঝিয়েছেন, কেরল ও ত্রিপুরায় এই প্রথম বামেরা সরকার চালাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহগের হাতে ক্ষমতা থাকলে রাজ্যে সরকার চালানোর কী অভিজ্ঞতা হয়, ওই দুই রাজ্যের নেতারা তা বুঝতে পারছেন।

কমরেড: আলিমুদ্দিনে (বাঁ দিক থেকে) মািনক সরকার, সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু এবং প্রকাশ কারাট। ছবি: শৌভিক দে।

কমরেড: আলিমুদ্দিনে (বাঁ দিক থেকে) মািনক সরকার, সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু এবং প্রকাশ কারাট। ছবি: শৌভিক দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

বিতর্ক স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু শিয়রে শমনের মোকাবিলায় বিতর্কের মীমাংসা করে লড়াই ধারালো করতে হবে। এই যুক্তি দিয়েই ত্রিপুরার লড়াইয়ের পাশে গোটা দলকে দাঁড়ানোর আর্জি জানালেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

পার্টি কংগ্রেসের আগে সিপিএমের বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির শেষ বৈঠক শুরু হয়েছে কলকাতায়। বৈঠকের শুরুতে শুক্রবার দলের রাজনৈতিক ও কৌশলগত লাইনের উপরে জোড়া খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেছেন ইয়েচুরি। তার মধ্যে একটি স্বয়ং ইয়েচুরির লেখা, অন্যটি তাঁর পূর্বসূরি প্রকাশ কারাটের। জোড়া খসড়া পেশ করতে গিয়ে প্রারম্ভিক ভাষণেই সাধারণ সম্পাদক কবুল করেছেন, দলের ভবিষ্যতের রণকৌশলের প্রশ্নে দ্বিমত আছে। তাই দু’টো খসড়া। কিন্তু বিজেপি যে অনেক বড় বিপদ, তা নিয়ে কোথাওে কোনও দ্বিমত নেই। এই পরিস্থিতিতে ভোটাভুটির পথে না গিয়ে বিতর্কের শেষে সহমতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত খসড়া তৈরির চেষ্টা করা উচিত বলে ইয়েচুরি মন্তব্য করেছেন। তাঁর যুক্তি, ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্দরে ভোটাভুটি বাইরেও ভুল বার্তা দিতে পারে।

বৈঠকে ইয়েচুরি বুঝিয়েছেন, কেরল ও ত্রিপুরায় এই প্রথম বামেরা সরকার চালাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহগের হাতে ক্ষমতা থাকলে রাজ্যে সরকার চালানোর কী অভিজ্ঞতা হয়, ওই দুই রাজ্যের নেতারা তা বুঝতে পারছেন। সামনে ত্রিপুরার ভোট। মাত্র ৬০টি আসনের ছোট রাজ্যে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সঙ্ঘ-বিজেপি কোনও কৌশল বাদ রাখছে না। এই ‘চক্রান্তে’র মোকাবিলা করে বিজেপি-কে জবাব দেওয়ার জন্য গোটা দলকে সক্রিয় হতে আর্জি জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। এ বারের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে ত্রিপুরার প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রস্তাব নেওয়া হতে পারে বলেও সিপিএম সূত্রের খবর।

দলের একাংশের মতে, সঙ্ঘ তথা বিজেপি-র আগ্রাসী রাজনীতির সামনে রাজ্য চালানোও যে কঠিন, সেই কথা বলে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক জোটের প্রয়োজনীয়তাই বুঝিয়েছেন ইয়েচুরি। ডাক দিয়েছেন ত্রিপুরাকে ‘রক্ষা’ করার। আর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি পাঠিয়েই তাঁর লাইনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কেরলের প্রবীণ নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে অনুপস্থিত ভি এস চিঠিতে লিখেছেন, বিজেপি ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’। তার মোকাবিলায় ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে একজোট করতে হবে। কংগ্রেসও ধর্মনিরপেক্ষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE