প্রতীকী ছবি।
বিগত কয়েক দশকে তাপপ্রবাহের কারণে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে ভারতের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র হয়ে উঠবে যে কার্যত ধ্বংসের সম্মুখীন হবে নাগরিক জীবন। তাপমাত্রা সহনশীলতার সীমা ছাড়ানোর ফলে এক একটি জনবহুল এলাকা হয়ে পড়বে বসবাসের অযোগ্য।
‘ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন ইন্ডিয়াজ কুলিং সেক্টর’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে পরিবেশের উষ্ণায়ন ও তাপপ্রবাহের ফলে বৈষম্য থেকে বিপুল জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যেখানে কোনও ভাবেই আর মানিয়ে নিতে পারবে না মানুষ। পাশাপাশি, তীব্র খরা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে পুরো মাত্রায়। এনডিটিভি জানাচ্ছে, কেরলে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনে রিপোর্টটি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হবে।
মাস দুয়েক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সোসাইটির যৌথ রিপোর্টেও উষ্ণায়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাপপ্রবাহের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, হর্ন অব আফ্রিকা তথা আফ্রিকার মূল মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পূর্বতম অঞ্চল, সাহিল অঞ্চল (উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়াকে নিয়ে গঠিত অঞ্চল) এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি। এ বার দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতকে নিয়ে একই আশঙ্কার কথা জানাল বিশ্বব্যাঙ্কও।
চলতি বছরের এপ্রিলে রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-র তরফে প্রকাশিত উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ২৮০০ পাতার সবিস্তার রিপোর্টে (‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২২: মিটিগেশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ’) বলা হয়েছিল, আগামী ৩ বছরের মধ্যে কার্বন নিঃসরণে রাশ টানতে না পারলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। যে হারে পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ছে, সবুজ কমছে, নিরন্তর ক্ষয় হচ্ছে ওজ়োন স্তর, তাতে পৃথিবীকে আর বাসযোগ্য রাখা দুষ্কর হয়ে পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy