২৪ বছরের এক দলিত যুবতীকে তাঁর অফিস থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করল এক যুবক।
তার পর সেই যুবতী যতই বাধা দিন না কেন, তার পরোয়া না করে তাঁর অফিসের সামনে দিয়ে কম করে একশো মিটার পথ তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে উধাও হয়ে গেল সেই যুবক। নিয়ে গেল একটি পরিত্যক্ত খামার বাড়িতে। তার পর সেই যুবতীকে সে ধর্ষণ করল। কিন্তু কেউ সেই যুবতীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন না। বরাত ভাল, ধর্ষণের পর ওই যুবতীকে খুন হতে হয়নি। তিনি পালিয়ে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু বাবাকে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েও তাঁকে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। পুলিশ ওই যুবতীর এফআইআর নেয় পাঁচ দিন পর। ঘটনাটি নিয়ে হইচই হওয়ার পর অবশেষে প্রায় এক মাস পর গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন- ২১ জন মিলে ধর্ষণ! মৃত্যুর পরও রেহাই মেলেনি ছাত্রীর
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ মার্চ, পঞ্জাবের মুক্তাসর এলাকায়। যুবতীটি ওই এলাকায় একটি কম্পিউটার সেন্টারে কাজ করতেন। তাঁর অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই দিন প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁকে তাঁর অফিস থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাচ্ছে এক যুবক। ওই যুবতী যতই চিৎকার করে তাঁকে বাঁচানোর জন্য সাহায্য চাওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, তাঁকে বাঁচাতে কেউই এগিয়ে আসেননি। পথচারীরা যে যার মতো চলে গিয়েছেন তাঁদের কাজে। পরে যুবতীটির অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু, তত ক্ষণে যুবতীটিকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন দুষ্কৃতী। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই দুষ্কৃতী আর যুবতীটি একই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা পূর্ব পরিচিতও ছিলেন।
ওই যুবতী পরে ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে মুক্তাসর থানার পুলিশ অফিসারকে তলব করেছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy