Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
US sanctions on Indian firms

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে ১৯ ভারতীয় সংস্থা

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে বিভিন্ন দেশের মোট ৩৯৮ সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার।

বাঁদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ডানদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাঁদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ডানদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৫
Share: Save:

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে বিভিন্ন দেশের মোট ৩৯৮ সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা। এর মধ্যে রয়েছে ১৯টি ভারতীয় সংস্থা। রয়েছেন দু’জন ভারতীয় নাগরিকও। তবে তাৎক্ষণিভাবে দুই ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।

আমেরিকার বিদেশ দফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রাশিয়ায় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া, আর্থিক লেনদেন এবং কূটনৈতিক যোগাযোগে সহায়তার অভিযোগে তারা ১২০ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের ট্রেজারি (অর্থ) বিভাগ চিহ্নিত করেছে ২৭০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে। এ ছাড়া বাণিজ্য দফতর ৪০টি সংস্থাকে ‘অভিযুক্ত’ ঘোষণা করেছে। তারই ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ।

ভারত এবং রাশিয়া ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চিন, তুরস্ক, হংকং, তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সুইৎজ়াল্যান্ডের মতো বিভিন্ন দেশের সংস্থা ও ব্যক্তিরা। প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি, ‘অ্যাসেন্ট অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘মাস্ক ট্রান্স’, ‘ফিউট্রেভো’ এবং ‘শ্রেয়া লাইফ সায়েন্সেস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মতো চারটি ভারতীয় সংস্থা বাইডেন সরকারের মূল নিশানা। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রুশ সংস্থাকে সামরিক এবং যান্ত্রিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুরায়িতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে নয়াদিল্লিকেও তারা ক্রমাগত চাপ দিয়েছে। যদিও ভারত সেই চাপ অগ্রাহ্য করে একের পর এক চুক্তি করেছে মস্কোর সঙ্গে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। বিষয়টি নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি ছিল বাইডেন সরকারের। শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লিকে ‘বার্তা’ দিতেই এই পদক্ষেপ করা হল বলে কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE