কালীঘাটেের নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াক। —ফাইল চিত্র।
কালীঘাট মন্দিরের ৫ নম্বর গেটের সামনে মালা নিয়ে বসে এক ফুল ব্যবসায়ী। কালীপুজোর দিন দুপুরের পরেও তাঁকে দেখা গেল শুকনো মুখে বসে থাকতে। ফুল শুকিয়ে গেলেও পুজোর দিনে মালা বিক্রিই হচ্ছে না সে ভাবে। কারণ, সকাল থেকে কালীঘাট মন্দিরে দর্শনার্থীদের তেমন ঢল নেই। সন্ধ্যায় ভিড় কিছুটা বাড়লেও তা অতিরিক্ত নয়। তবে হাতে গোনা যে কয়েক জন দর্শনার্থী মন্দিরে এসেছেন, তাঁদের বেশি উৎসাহ সামনের নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াক নিয়ে!
এ দিন সকাল থেকে মন্দিরের চারপাশে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও প্রতিটি গেটে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের দেখা গেল, চেয়ারে গা এলিয়ে মোবাইল ঘাঁটতে ব্যস্ত। সকাল থেকে দু’-চার জন দর্শনার্থী এলেও ভক্তদের ঢল নেই কালীঘাট মন্দিরে। কেন? এক প্রসাদ ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘একই মাসে দুর্গাপুজা ও কালীপুজো পড়েছে। মানুষের হাত খালি। তাই ভিড় কম হবে আগেই বুঝেছিলাম। সকাল থেকেই মায়ের দর্শন করে অনেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক জনই মাত্র প্রসাদ নিয়ে পুজো দিচ্ছেন।’’ তবে মন্দিরে ভিড় না হলেও রাস্তায় এসে নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াক ঘুরে দেখার উৎসাহে বিরাম নেই। স্কাইওয়াক নিয়ে আশপাশের দোকানিদের নানা প্রশ্নও করছেন অনেকে। এক দোকানির কথায়, ‘‘বিক্রিবাটা তেমন নেই। উল্টে স্কাইওয়াক নিয়ে দর্শনার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছি।’’ মুচকি হেসে আর এক ব্যবসায়ীর মন্তব্য, ‘‘মন্দিরের পাশাপাশি নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকও একটি দর্শনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে!’’
পরে সন্ধ্যার দিকে ভিড় বাড়লেও তা সাপ্তাহিক শনিবার ও মঙ্গলবারের ভিড়ের তুলনায় বেশি নয়। পুজোর দিনেও ভিড় না হওয়ার কারণ হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সেবায়েতদের একাংশ। তাঁদের মতে, প্রায় বছর তিনেক ধরে ওই কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। এর জন্য বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ, চার দিকে ব্যারিকেড, রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। গত কয়েক বছর ধরেই মন্দিরে পৌঁছতে গিয়ে নাকাল হতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। তাই স্কাইওয়াকের কাজ শেষ না হলে দর্শনার্থীদের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ার তেমন আশা দেখছেন না তাঁরা। ওই সেবায়েতদের একাংশ বলেন, ‘‘গত এপ্রিলে কাজ শেষ হয়ে যাবে শুনেছিলাম। তার পরে শুনলাম, সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হবে। এখন শুনছি, নভেম্বরে কাজ শেষ হবে। কিন্তু যা দেখা যাচ্ছে, স্কাইওয়াক নির্মাণের ২০ শতাংশ
কাজ এখনও বাকি রয়েছে। যা শেষ হতে মার্চ-এপ্রিল মাস হয়ে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তার পরে হয়তো মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy