—ফাইল চিত্র।
ভাঙলেন, তবু মচকালেন না! চাপের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে নিজের ‘প্রেস্টিটিউটস’ মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাইলেন বটে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ। তবে, সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানালেন, সংবাদমাধ্যমের অতি ক্ষুদ্র অংশ তাঁর বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রচার’ চালাচ্ছে। সেই অংশের কাছে একেবারেই ক্ষমাপ্রার্থী নন তিনি।
ভি কে সিংহের মতে, সংবাদমাধ্যমের সমস্ত অংশের জন্য ‘প্রেস্টিটিউটস’ শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি। এর ৯০ শতাংশ প্রতিনিধিই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে বাকি ১০ শতাংশ ওই ধরনের মন্তব্যেরই যোগ্য। তাঁর কথায়, “যদি ৯০ শতাংশ (সংবাদমাধ্যমের) ব্যথিত হন, তবে তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি ১০ শতাংশের জন্য এ ধরনের শব্দ প্রয়োগ করেছি, আর তাঁদের সেটাই প্রাপ্য।” নিজের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিও দিয়েছেন ভি কে সিংহ। তাঁর দাবি, ‘প্রেস্টিটিউটস’ ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের ওই ১০ শতাংশের জন্য ‘বাজারি’ বা ‘পেড’-এর মতো আরও অশালীন শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ভি কে সিংহ। ইয়েমেন আটকে থাকা ভারতীয়দের এ দেশে ফিরিয়ে আনার ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক কালের তাঁর পাকিস্তান সফরের তুলনা করেন। ভি কে সিংহের মতে, ইয়েমেনে ওই উদ্ধারকাজ তুলনামূলক ভাবে ‘কম উত্তেজক’। তবে সেই মন্তব্যের জন্য অবশ্য যাবতীয় দায় টেলিভিশন চ্যানেলের উপরেই চাপিয়ে দেন তিনি। পরে সে বিষয়ে মুখ খুলে তিনি বলেন, “বন্ধুরা, প্রেস্টিটিউটদের কাছ এর চেয়ে বেশি আর কী-ই বা আশা করবেন!”
আরও পড়ুন: বসে গান গাওয়ার ‘শাস্তি’ গুলি, নিহত অন্তঃসত্ত্বা গায়িকা
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত হাইকোর্টে, পঞ্চায়েত ভোট কি পিছিয়ে যাবে?
এর পরেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনায় মুখর হয় বিরোধীরা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান করার কথা বলেন। অন্য দিকে, কংগ্রেস আরও জোরালো আক্রমণ করে। নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ভি কে সিংহের পদত্যাগের দাবি তোলে তারা। এর পর টুইটারে ভি কে সিংহকে একের পর এক তীক্ষ্ণ মন্তব্যে বিঁধতে থাকে। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য ভি কে সিংহের ওই মন্তব্যের দায় নিতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy