বুলন্দশহরে গোহত্যার ঘটনায় ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে (এনএসএ) অভিযোগ দায়ের করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরে মাহাও গ্রামের বাইরে বেশ কয়েকটি গরুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার জেরে তাণ্ডব চালায় জনতা। গুলিতে নিহত হন ইনস্পেক্টর সুবোধকুমার সিংহ ও স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সেয়ানা থানায় দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি অভিযোগ হিংসা সংক্রান্ত। তাতে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ৮০ জন। অন্যটি গোহত্যা সংক্রান্ত। পুলিশ জানিয়েছে, গোহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আজহার খান, নাদিম খান, মেহবুব আলির বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ, ওই তিন অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশের দাবি, গোহত্যার ঘটনার জেরেই বুলন্দশহরে হিংসা হয়েছিল। নষ্ট হয়েছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। তাই ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্য দিকে বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের ছবি দেওয়া হোর্ডিং ছড়িয়ে পড়েছে মেরঠের নানা এলাকায়। বজরং দলের নেতা যোগেশ রাজকে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ছাড়াও ওই হোর্ডিংগুলিতে ছবি আছে অভিযুক্ত সতীশ লোধি, আশিস চৌহান, সত্যেন্দ্র রাজপুত ও বিশাল ত্যাগীর। হোর্ডিংয়ে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে মকর সংক্রান্তি ও প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
বজরং দলের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় নেতারা নিজেদের উদ্যোগে হোর্ডিং লাগিয়েছেন। যোগেশ সংগঠনের বুলন্দশহর শাখার আহ্বায়ক। তাই তাঁর ছবি রয়েছে। তা ছাড়া ওই পাঁচ জন অভিযুক্ত। তাঁরা দোষী কি না তা স্থির করবে আদালত। হোর্ডিংয়ে সংগঠনের নেতাদের ছবি দেওয়া অপরাধ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy