ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে লড়বেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে যা করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, অভিযোগ এ বার ত্রিপুরায় তা অনুকরণ করলেন বামজোটের আহ্বায়ক তথা সিপিএম নেতা নারায়ণ কর। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই বুধবার একতরফা ভাবে কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়ে রেখে প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন তিনি।
বাম নেতৃত্বের এই পদক্ষেপে ভোটের আগেই বিজেপি বিরোধী লড়াই কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ল বলেই কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের মত। পাশাপাশি একতরফা প্রার্থী ঘোষণার ফলে জনজাতি দল তিপ্রা মথার সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাতেও কার্যত ইতি টেনে দিল সিপিএম। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘দিল্লিতে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনা চলছে। সেখানেই আসন রফার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’’
৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় এ বার ৪৩টি আসনে লড়ছে সিপিএম। বামজোটের তিন শরিক, আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লককে ১টি করে বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়া হয়েছে। নারায়ণ জানিয়েছেন, বাকি কেন্দ্রটিতে লড়বেন এক বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পাশাপাশি এ বার বাদল চৌধুরী, ভানুলাল সাহা, শাহিদ চৌধুরী, তপন চক্রবর্তীর মতো প্রাক্তন মন্ত্রীদেরও প্রার্থী করা হয়নি। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় আড়াই দশকের বাম শাসনের পতন হলেও ধনপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন মানিক।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দু’টি কেন্দ্রেই জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল ৪৯ শতাংশ ভোট। ২৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে দু’টি আসনেই দ্বিতীয় হয়েছিল কংগ্রেস। ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল বামেরা। রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টিতে প্রথম স্থানে ছিল বিজেপি। ৯টিতে কংগ্রেস। ২০১৮ পর্যন্ত ত্রিপুরায় ক্ষমতায় থাকা বামেরা ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের হিসাবে রাজ্যের একটি বিধানসভা আসনেও এগিয়ে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy