ভারত চড়া হারে আমদানি শুল্ক চাপায় বলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ তুলেছিলেন। আজ বাজেটে কার্যত আমেরিকার সেই ক্ষোভ প্রশমনেই বিদেশ থেকে আমদানি করা গাড়ি, বাইক-সহ একগুচ্ছ ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কের হার কমানো হল। বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নিজেরই বক্তব্য, ‘‘ভারত চড়া হারে আমদানি শুল্ক চাপায় বলে প্রচার চলে। বাস্তবে শুল্ক কমানো হচ্ছে। তার সরলীকরণ করা হচ্ছে। এটাই আসল ছবি।’’
আজ বাজেটে একগুচ্ছ পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ৪০ হাজার ডলারের বেশি দামের অত্যাধুনিক গাড়িতে আমদানি শুল্ক ১২৫% থেকে কমিয়ে ৭০% করা হয়েছে। দামি মোটরবাইকের থেকে আমদানি শুল্ক ১০০% থেকে কমিয়ে ৭০% করা হয়েছে। ১৬০০ সিসি-র বেশি ইঞ্জিনের বাইকে আমদানি শুল্ক ৫০% থেকে কমে ৪০% হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় ৬৪ বার ‘শুল্ক’ শব্দটি উচ্চারণ করা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদে বসার আগে থেকেই ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে সরব ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তিনি চিন, ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশের উপরে পাল্টা চড়া শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল শুল্ক কমানো নিয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছিলেন। তবে শুল্ক যুদ্ধের অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখেই বাজেটে দেশীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে নির্মলা মানতে চাননি। আমেরিকার কূটনৈতিক শিবির মনে করছে, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা। তার আগে আজকের শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত সদর্থক বার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে। যদিও ট্রাম্প এর পরেও দর কষাকষির চেষ্টা করবেন বলে ভারতীয় কূটনীতিকদের মত।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)