প্রবল সমালোচনার মুখে শেষে ভাভুয়া স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার অনুমতি দিলেন কৈমুরের জেলাশাসক দেবেশ সেহেরা। বিহারে প্রথম দফার ভোটের ঠিক আগে এই সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে বিজেপি।
বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য প্রচারে আগামী কাল মাওবাদী প্রভাবিত কৈমুরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। অতিরিক্ত ভিড়়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় সমস্যা হতে পারে— এমন যুক্তি দেখিয়ে প্রথমে সভার অনুমতি দিতে চাননি জেলাশাসক। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমার সরকারের লড়াই শুরু হয়েছিল। রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, দলের রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে, রাজ্য পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদবের মতো নেতারা জেলাশাসক দেবেশকে চিঠি লেখেন। বিজেপির প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে অবশেষে জেলাশাসক সভার অনুমতি দিয়ে দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি শর্ত দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের যুক্তি ছিল, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সীমানায় অবস্থিত কৈমুর জেলা অত্যন্ত সংবেদনশীল। মাঠের আকার, প্রবেশপথ দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর পরই বিজেপি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানায়। নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপেই সমস্যা মিটেছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি।
আগামী কাল বিহারের ১০টি জেলার ৪৯টি কেন্দ্রে প্রথম দফার নির্বাচন। কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দফায় প্রায় এক কোটি ৩৫ লক্ষ ভোটার ৫৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৫৫ হাজার ৯০২ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। ১৩ হাজার ২১২টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ২ হাজার ২৫৫টি মাওবাদী প্রভাবিত ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
ভোটের আগের দিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে জনতার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
অন্য দিকে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেডিইউয়ের পিপরা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী অবধেশ কুশওয়াহার টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘আপলোড’ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যায় অবধেশকে বরখাস্ত করেছেন নীতীশ কুমার। অভিযোগ, বিহারে সরকার তৈরির পর মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীদের কাজের বরাত দেওয়া হবে বলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন অবধেশ।
ওই ভিডিওতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা মুন্দ্রিকা সিংহের উপস্থিতিতে দলের মখদুমপুরের প্রার্থী সুবেদার দাস এবং ঘোসি কেন্দ্রের প্রার্থীর ভাই রীতেশকেও কাজের বরাত দেওয়ার নাম করে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। যদিও অভিযুক্তেরা টাকা নেওয়ার কথা মানতে চাননি। নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করেছে। দলীয় স্তরেও তদন্ত করবে জেডিইউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy