প্রতীকী ছবি।
হিরের লোভে শিব মন্দির থেকে এক হাজার কেজি ওজনের ‘নন্দী’র পাথরের মূর্তি চুরি করে নিয়ে গেল এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার রামচন্দ্রপুরমের অগস্তেশ্বর স্বামী মন্দিরে।
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই শিব মন্দিরটি। মন্দিরের সামনেই ছিল গ্রানাইট পাথরের তৈরি ষাঁড়ের মূর্তি। গুজবটা কোনও ভাবে ছড়িয়েছিল যে, মন্দিরে প্রচুর হিরে লুকনো আছে। আর ওই হিরে রয়েছে ‘নন্দী’র মূর্তির ভিতরে।
খবরটা পৌঁছে গিয়েছিল চোরদের কাছে। ২৪ জানুয়ারি গভীর রাতে মন্দিরে ‘অপারেশন’ চালায় তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে দলে প্রায় ২০-২৫ ছিল। মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় বাড়তি সুবিধা পেয়ে গিয়েছিল চোরেরা। হিরের লোভে ষাঁড়ের গোটা মূর্তিটাকেই মন্দির থেকে তুলে নিয়ে যায় তারা। একটি খালের ধারে নিয়ে গিয়ে সেটা ভাঙা শুরু করে। গোটা মূর্তিটাকেই ভেঙে ফেলে চোরেরা। কিন্তু কোথায় হিরে! মূর্তির ভিতরে একটা হিরের চিহ্ন পর্যন্ত পায়নি চোরেরা। শেষমেশ হতাশ হয়েই মূর্তিটিকে ফেলে চলে যায় তারা।
আরও পড়ুন: বিহারে লাইনচ্যুত সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ৯টি বগি, মৃত ছয়, আহত শতাধিক
বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায়। খালের ধারে ষাঁড়ের ভাঙা মূর্তি পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। রামচন্দ্রপুরমের সার্কেল ইনস্পেক্টর শিব গণেশ জানান, ঘটনার পর থেকেই চোরদের ধরার জন্য জোরকদমে তল্লাশি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু সূত্র পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই শনিবার ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আরও বেশি লোক এই চুরির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় তিনটি খুন, হত ১ দুষ্কৃতী
এই চুরির ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্নও উঠে এসেছে। মন্দিরে সিসিটিভি ছিল না ঠিকই। কিন্তু অত বড় একটা পাথরের মূর্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কেউ টের পেলেন না? শাবল-গাঁইতি চালিয়ে মূর্তি মন্দির চত্বর থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় কি কোনও শব্দ হয়নি? এই ঘটনায় কি মন্দিরের কেউ জড়িত? এই সব প্রশ্নগুলোই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। শিব গণেশ জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আরও তথ্য হাতে আসবে। কোনও পাচার চক্র এর সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান শিব গণেশ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy