Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Delhi Murder Case

দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর সময়ে আচমকা গুলি, নিহত কাকা-ভাইপো, জখম ১০ বছরের বালকও

দিল্লিতে দীপাবলির রাতে বাজি পোড়ানোর সময়ে এক যুবক এবং তাঁর ভাইপোকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যুবকের ১০ বছরের পুত্রও গুলিবিদ্ধ হয়। এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দীপাবলির উৎসবের মাঝেই গুলি!

দীপাবলির উৎসবের মাঝেই গুলি! —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৯
Share: Save:

দীপাবলি উপলক্ষে বাড়ির সামনেই বাজি পোড়াচ্ছিলেন। সেই সময়ে আচমকা গুলি করে খুন করা হল কাকা এবং ভাইপোকে। রেহাই পেল না ১০ বছরের বালকও। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি দিল্লির শাহদরার বিহারি কলোনি এলাকার। মৃতেরা হলেন ৪০ বছরের আকাশ শর্মা এবং তাঁর ভাইপো ঋষভ শর্মা। ঋষভও নাবালক বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এ ছাড়া, গুলিবিদ্ধ হয়েছে আকাশের ১০ বছরের পুত্র কৃশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ বিহারি কলোনি এলাকায় গুলি চলে। পুলিশের কাছে সেই খবর পৌঁছয় সাড়ে ৮টা নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, দু’জন আততায়ী বাইকে চড়ে এসেছিল। তাঁদের মধ্যে এক জন বাইক থেকে নেমে আকাশের পায়ে হাঁত দিয়ে প্রণামও করেন। তার পর সরাসরি তাঁর বুকে গুলি চালিয়ে দেন। সামনেই ছিল ঋষভ এবং কৃশ। তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয় এর পর। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ডিসিপি প্রশান্ত গৌতম বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আমরা ফোন পাই, জানতে পারি বিহারি কলোনি এলাকায় গুলি চলেছে এবং তিন জন জখম হয়েছেন। দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি, পাঁচ রাউন্ড গুলি চলেছিল।’’

ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড, নিহতদের আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আকাশের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, হত্যাকারীকে তিনি চেনেন। দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিবাদ চলছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Murder Case Murder Cases Firing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE