—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অনেকে আশা করছিলেন, এ বার দীপাবলির উপহার হিসেবে দেশের সাধারণ আয়ের মধ্যবিত্ত মানুষদের সংসার খরচে কিছুটা সুরাহার বন্দোবস্ত করতে পারে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমাতে বলতে পারে। বিশেষত সামনে যেহেতু মহারাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ভোট। কিন্তু আশা পূর্ণ হল না। উপহার দূর অস্ত্, দীপাবলির রাতে সামান্য স্বস্তিও ফিরল না আমজনতার হিসাবের খাতায়। পেট্রল-ডিজ়েলের দাম যা ছিল, তা-ই রইল নভেম্বরে। অপরিবর্তিত রাখা হল গৃহস্থের হেঁশেলে রান্নার জন্য ব্যবহারের গ্যাস সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) খরচও। বরং আশঙ্কা উস্কে বেশ খানিকটা বাড়ল হোটেল-রেস্তরাঁয় রান্নার বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম (১৯ কেজি)। কলকাতায় তা নভেম্বরে ৬১ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯১১.৫০ টাকা।
বর্তমানে বাড়িতে রান্নার গ্যাস কিনতে হয় (কলকাতায়) ৮২৯ টাকায়। বিশ্ব বাজারে অশোধিত জ্বালানি সস্তা হলেও, ৮ মাস ধরে এই দাম স্থির। এর আগে মার্চে লোকসভা ভোটের আগে একটু কমেছিল। তার উপর সিলিন্ডারে সরকারি ভর্তুকির সুবিধা আগের মতো তেমন মেলে না। কোথাও তা উধাও, কোথাও নামমাত্র। যেমন, কলকাতায় ১৯.৫৭ টাকা পান গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, উচ্চবিত্তদের এতে কিছু যায়-আসে না। দরিদ্রদের জন্য সরকারি ভর্তুকি কিছুটা বেশি। মাঝখান থেকে মার খাচ্ছেন সাধারণ আয়ের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। কোনও দিক থেকেই খরচ কমছে না তাঁদের। পেট্রল ও ডিজ়েলের চড়া দামেও ইতিমধ্যেই যাতায়াতের খরচ অনেকটা বেড়েছে।
কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রল এখন লিটার পিছু ১০৪.৯৫ টাকা, ডিজ়েল বিক্রি হয় ৯১.৭৬ টাকায়। ওই মহলের দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম অনেক কমে ব্যারেল পিছু ৭১-৭২ ডলারে নেমেছে। এটাই সুযোগ ছিল দেশে তেল-গ্যাসের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে কিছুটা সুরাহা দেওয়ার। ডিজ়েলের মতো পরিবহণ জ্বালানি সস্তা হলে বিশেষত খাদ্যপণ্যের দাম একটু কমতে পারত। কিন্তু সেটাও হল না।
এর আগে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ২৩৫ টাকা কমানো হয়েছিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। তা দাঁড়িয়েছিল ১৭৫৬ টাকা। তার পরে অগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে তা বাড়ায় তেল সংস্থাগুলি। এ বার এ মাসের দাম গত ফেব্রুয়ারির জায়গায় চলে গেল। যখন তা ছিল ১৯১১ টাকা। এর কিছুটা চাপও খাবারের দামে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy