Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Education Loan

Education Loan: শিক্ষা ঋণ প্রকল্পে নেই বহু ব্যাঙ্ক, ক্ষুব্ধ রাজ্য

নাবার্ড জানিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এ রাজ্যে ২.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দানের লক্ষ্য তাদের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:১৮
Share: Save:

গত বছর জুনে পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষা ঋণ প্রকল্প, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে রাজ্য। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বহু ব্যাঙ্ক তা দিচ্ছে না। কারণ তারা এখনও প্রকল্পে শামিলই হয়নি। এ নিয়ে মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাঁর মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে কৃষি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্ত প্রকল্প সম্পর্কে ব্যাঙ্ক এবং ঋণদাতা অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলিকে সচেতন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সচেতন করা দরকার রাজ্যবাসীকেও। না-হলে সাধারণ মানুষ অনেক সুবিধা পাবেন না।

রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, তাদের অনুমোদিত কেন্দ্রীয় এবং জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড মারফত ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ দেওয়ার কথা। এ জন্য বন্ধক রাখতে হবে না। গ্যারান্টরের দায়িত্ব পালন করবে সরকার। রাজ্যের দাবি, পড়াশোনার জন্য সহজে টাকার বন্দোবস্ত করাই প্রকল্পটির লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে অসহযোগিতার অভিযোগে ক্ষুব্ধ দ্বিবেদী এ দিন নাবার্ডের এক সভায় যোগ দিতে এসে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের গ্যারান্টি থাকা সত্ত্বেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষা ঋণ দেওয়ার প্রকল্পে যোগ দেয়নি অনেক ব্যাঙ্ক। আমরা চাই সমস্ত ব্যাঙ্কই ওতে শামিল হোক।’’ আগামী অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) শিক্ষা খাতে নাবার্ডকেও ঋণদানের অঙ্ক বাড়াতে বলেছেন তিনি। সভায় উপস্থিত স্টেট ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যেই এই খাতে ৪৬৬ কোটি টাকা ঋণ
মঞ্জুর করেছেন।

নাবার্ড জানিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এ রাজ্যে ২.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দানের লক্ষ্য তাদের। যা আগের বছরের থেকে ১২% বেশি। অর্থবর্ষের শুরু থেকে যাতে ঋণদান শুরু করা যায় সে জন্য রাজ্য গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারি করতে নাবার্ডের শাখা সংস্থা নাবার্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসেসকে (ন্যাবকন) নিয়োগ করেছে, জানান সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজার এ আর খান। তাঁর দাবি, মুখ্যসচিবের কথা মতো রাজ্যে শিক্ষা খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে রাজ্য ভিত্তিক ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা। গত অর্থবর্ষে বাংলায় সামগ্রিক ভাবে ঋণ দানের যে লক্ষ্য ছিল তার ৭৮% পূরণ হয়েছে। আশা, বাকিটাও হয়ে যাবে।

এ দিকে, রাজ্যে মাছ চাষের জন্য বিমা আনতে উদ্যোগী হয়েছে এসএলবিসি। কমিটির আহ্বায়ক নবীন কুমার দাস জানান, “এ জন্য বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি শীঘ্রই চালু করা যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Education Loan Scheme Banks States
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy