বোনাস পেতেই উৎসবের আমেজ বরাকের চা বাগানে। বোনাস মিলছে দু’সপ্তাহ আগে থেকে। বছরভর কাজের পর পুজোর বোনাসের অপেক্ষায় থাকেন বাগান শ্রমিকরা। বোনাস পেলেই দুর্গাপুজোর আনন্দ ছড়ায় বাগানে বাগানে। আগে বোনাস দেওয়ার দিন আগাম জানিয়ে দিতেন বাগান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জঙ্গিদের আতঙ্কে বোনাসের টাকা
লুটেরর আশঙ্কায়সেই কাজ গোপন রাখতে চান তাঁরা।
জেলায় সবার আগে বোনাস পেয়েছেন আয়নাখাল চা বাগানের শ্রমিকরা। এ বারও তাঁরা ২০ শতাংশ হারে বোনাস পেয়েছেন। স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের দফায় দফায় বোনাস দেওয়া হচ্ছে। বাগান ম্যানেজার অলোক মহাবীর এ কথা জানান। আয়নাখালের সিঙ্গালা চা বাগানের শ্রমিক বাসন্তী বোনাসের টাকা পেয়ে আত্মহারা। তিনি জানান, তাঁর তিন ছেলের জন্য বোনাসের টাকায় জামাকাপড় কিনবেন। কিছু টাকা বাঁচলে তাঁর স্বামী ও নিজের জন্য কিছু কেনাকাটা করবেন। লক্ষ্মীনগরের শ্রমিক সুজন রবিদাস জানান, টাকা কোথায় খরচ করবেন, তা ঠিকও করে নিয়েছেন। হাইলাকান্দির বিএমএস নেতা রাজকুমার ভর চা বাগানে বোনাস দেওয়ার বিষয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতিটি চা বাগানে ২০ শতাংশের বেশি হারে বোনাস দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
হাইলাকান্দি জেলায় ২৭টি চা বাগান রয়েছে। বোনাস-পর্ব শুরু হওয়ায় প্রাণ এসেছে পুজোর বাজারেও। বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই বরাকের চা বাগানগুলিতে বোনাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy