Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

পেনশন, ভাতা বন্ধ হবে না প্রাক্তন সাংসদদের

প্রাক্তন সাংসদদের পেনশন, যাতায়াতের ভাতা-সহ বেশ কিছু সুবিধা বন্ধ করতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। এই আর্জি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা আজ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:০৬
Share: Save:

প্রাক্তন সাংসদদের পেনশন, যাতায়াতের ভাতা-সহ বেশ কিছু সুবিধা বন্ধ করতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। এই আর্জি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা আজ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

‘লোক প্রহারী’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইলাহাবাদ হাইকোর্টে এই বিষয় নিয়ে একটি মামলা করেছিল। আদালতের সামনে সংস্থাটির আর্জি ছিল, প্রাক্তন সাংসদরা যে হেতু আর জনপ্রতিনিধি নন, তাই তাঁদের পেনশন কিংবা অন্য সুবিধা দেওয়া হলে, তা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ সকলের সমানাধিকারের বিরোধী। মামলাকারীদের আরও যুক্তি, যাঁরা আইন প্রণয়নের কাজে আর যুক্ত নন, তাঁদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করার অধিকার সংসদের নেই। কারণ, সংসদ এই ধরনের কোনও আইনও তৈরি করেনি। ‘লোক প্রহারী’-র ওই আর্জি খারিজ করে দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে এসেছিল সংস্থাটি।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ বিচারপতি জে চেলমেশ্বর ও বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌর বলেন, ‘‘এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।’’ গত ৭ মার্চে মামলাটির রায় স্থগিত করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সময়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায়, প্রাক্তন সাংসদরা পেনশন ও অন্য সুবিধা পেতেই পারেন। কারণ, সংসদ সদস্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হলেও তাঁদের সম্মান রক্ষা করার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। কেন্দ্র জানায়, ২০১৮ সালের অর্থবিলে সাংসদদের বেতন ও পেনশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর, মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে তাঁদের বেতন ও ভাতা সংশোধন করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতেই সাংসদদের বেতন ও ভাতা ঠিক করতে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামত চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্র। প্রাক্তন সাংসদদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখতে গত মার্চেই রাজি হয়েছিল কোর্ট। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের মতামত চাওয়া হয়। এর পরেই এল আজকের রায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE