পাঁচ বছরের শিশুকে খুন করে এক মাস ধরে তার দেহ স্যুটকেসে লুকিয়ে রেখেছিল ছেলেটির পড়শি ‘কাকু’! এমনকী, ‘মিসিং ডায়েরি’ করতে শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে থানাতেও গিয়েছিল সে। ২৭ বছরের সেই কাকু— অবধেশ শাক্যকেই শিশু খুনের অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
ডিসিপি আসলাম খান জানান, স্বরূপনগরের বাসিন্দা আশিস সিংহকে ৭ জানুয়ারি থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ দিন নাথুপুরা গ্রামে অবধেশের বাড়িতে একটি স্যুটকেসে তার দেহ মিলেছে। অবধেশ তিন বছর আশিসদের বাড়িতে ভাড়া ছিল। সম্প্রতি প্রতিবেশী এলাকা নাথুপুরায় চলে যায়। তবে আশিসদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তিন বার আইএএস পরীক্ষায় বসেছে অবধেশ। লাগাতার পার্টিও দিত। পুলিশের বক্তব্য, তাই আশিসের বাবা-মা চাইতেন না, তাঁদের ছেলে ওই যুবকের কাছে যাতায়াত করুক। ৭ জানুয়ারি আশিসকে সাইকেল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডাকে অবধেশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, আশিস অবধেশ‘কাকু’কে জানায়, তার বাবা চান না, যে সে এই বাড়িতে আসুক। তার পরই শিশুটির গলায় মাফলার পেঁচিয়ে তাকে মেরে ফেলে অবধেশ। কিন্তু দেহ সরানোর সুযোগ পায়নি। কারণ, রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। দেহ স্যুটকেসে ভরে বিছানার নীচে রেখে দেয় সে। এমনকী, পচে গন্ধ বেরোলে পড়শিদের সন্দেহ হবে বলে কিছু ইঁদুরও মেরেছিল অবধেশ।
গত কয়েক দিন যাবৎ আশিসদের বাড়ি যাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেয় অবধেশ। সন্দেহ হয় আশিসের বাবা-মায়ের। সেই সূত্রে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অবধেশ দোষ স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy