ভোটের ফলাফলে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ‘আশঙ্কা’ করছেন সিদ্দেক আহমেদ! সরাসরি এমন মন্তব্য না করলেও তাঁর কথায় ইঙ্গিত মিলেছে— ইউডিএফের সাহায্য ছাড়া অসমে সরকার গঠন করতে পারবে না কেউ-ই। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, এ রাজ্যে সরকার গঠনে বিজেপির দিকেই সমর্থনের হাত বাড়াতে পারেন বদরুদ্দিন আজমল। সিদ্দেকের যুক্তি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে ব্যবসা চালাতে পারবেন না বদরুদ্দিন আজমলের মতো বড় ব্যবসায়ী। কেন্দ্রের শাসক দলকে সমর্থন করা ছাড়া তাই তাঁর সামনে অন্য কোনও রাস্তা নেই।’’
আজ করিমগঞ্জের আবর্তভবনে সাংবাদিক বৈঠকে অসমের বিদায়ী শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে কংগ্রেস সরকারকে কখনও সমর্থন করেননি আজমল। কিন্তু কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেসকে বিভিন্ন সময় সমর্থন করেছিলেন। সিদ্দেকের বক্তব্য, ইউডিএফ প্রধান এখন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সমর্থন করেন। কারণ, ভারতের বাইরেও বিভিন্ন দেশে তাঁর ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে। ব্যবসার খাতিরে এআইইউডিএফ প্রধান বিজেপির পাশে থাকতে চান।
তবে, দক্ষিণ করিমগঞ্জে নিজের জয় নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত সিদ্দেক। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর সমষ্টিতে বিরোধীরা একজোট হয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিল।অন্তর্ঘাত ছিল কংগ্রেসের অন্দরমহলেও। জেলা কংগ্রেসের উপ-সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করেছেন। তবে ভোটে তিনিই জিতবেন বলে দাবি করেছেন সিদ্দেক। এ দিন ইউডিএফ সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আজমল টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে সিদ্দেকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এমন মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে চিহ্নিত করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy