Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

এনআইএ চাপে কোণঠাসা হুরিয়ত

হাওয়ালা ও অন্যান্য বেআইনি পথে পাক অর্থ নিয়ে সন্ত্রাস ও অশান্তিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে আট জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ১১:২০
Share: Save:

কিছু দিন আগে পর্যন্তও তাঁদের ইঙ্গিতে কাশ্মীর জুড়ে জ্বলে উঠত বিক্ষোভের আগুন। কিন্তু পাকিস্তানি অর্থ নিয়ে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারি শুরুর পরে একেবারে কোণঠাসা উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্ব।

হাওয়ালা ও অন্যান্য বেআইনি পথে পাক অর্থ নিয়ে সন্ত্রাস ও অশান্তিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে আট জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার পর থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বাড়ি ও অফিসে লোকজনের যাতায়াত কার্যত বন্ধ। আগে প্রতি দিন অন্তত হাজার শব্দের প্রবল ভারত-বিরোধী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত হুরিয়ত কনফারেন্স। এখন কোনওক্রমে একশো শব্দের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে। তাও ভাষা তেমন জোরালো নয়।

শ্রীনগরের অভিজাত এলাকা হায়দরপোরায় বিশাল এক বাড়িতে থাকেন কট্টরপন্থী হুরিয়তের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। খাতায় কলমে বাড়ির মালিক জামাত-ই-ইসলামি সংগঠন। আগে ওই বাড়ি থেকেই বিক্ষোভ-আন্দোলনের কর্মসূচি স্থির করতেন গিলানি। আপাতত বেশ কিছু দিন সেখানেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন এই নেতা।
তাঁর জামাই ফান্টুশ গিলানি ও প্রভাবশালী সহযোগী আয়াজ আকবর আপাতত হেফাজতে। গিলানির বাড়িতে মোতায়েন পুলিশ অফিসারেরা জানাচ্ছেন, এনআইএ-র অভিযানের পরে বিশেষ কেউ দেখা করতে আসেননি বর্ষীয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সঙ্গে।
হুরিয়ত সূত্রে খবর, ধৃত নেতাদের জায়গা নিতে কেউ রাজি নন। কারণ, তাহলেই গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গিলানির সংগঠনের মতোই অবস্থা নরমপন্থী হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুকেরও।
তাঁর মুখপাত্র এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা শাহিদ-উল-ইসলামও এখন তিহাড় জেলে। তার ফলে সংগঠনের কাজকর্ম চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে। হুরিয়তের এক নেতার কথায়, ‘‘প্রতি দিন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কমছে। এ ভাবে চলতে থাকলে সমর্থকদের উপর থেকে প্রভাব একেবারে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE