উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নিয়ে সে রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা শুক্রবার খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২ জুলাইয়ের ওই ঘটনার তদন্তের জন্য এক জন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিশন গড়ার আর্জি জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে এ বিষয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবেদনকারী পক্ষকে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আবেদন খারিজ করে বলেন, ‘‘এ ধরনের আবেদন শোনার যোগ্যতা রয়েছে হাই কোর্টের।’’
আরও পড়ুন:
গত ২ জুলাই হাথরসের মুগলগঢ়হীতে একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন হয়েছিল। নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা নামে এক ধর্মগুরুর ডাকে সেই ‘সৎসঙ্গ’-এ ভিড় করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান শেষ হয়। তবে অনুষ্ঠান শেষে বিপদ ঘটে। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কির কারণে একে অপরের উপর পড়ে যান। পদদলিত হন। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১২১।
আরও পড়ুন:
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তের ভার নিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলায় সরাসরি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ছোট জায়গায় নিয়ম ভেঙে প্রায় আড়াই লক্ষ ভক্তের সমাগম হলেও তাঁদের ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ছিল না ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থাও। আগেই পুলিশের তরফে করা এফআইআরে বলা হয়েছে, ‘সৎসঙ্গ’-এ ৮০ হাজার ভক্ত উপস্থিত থাকবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। কেন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সচেষ্ট হয়নি, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিশাল।