আর্থিক অনটনের কারণ দেখিয়ে একতরফা ভাবে ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের ৭৯তম অধিবেশন বন্ধ করলেন পুণের সাবিত্রীভাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধিবেশন শুরুর মাত্র দু’সপ্তাহ আগে! বিশ্ববিদ্যালয়ের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইতিহাস কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতি।
১৯৩৫ সালে পুণেয় ইতিহাস কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দাত্তো বামন পোতদার। সেই বিশ্ববিদ্যালয় কেমন এমন ভাবে অধিবেশন বন্ধ করল, তা নিয়ে চর্চা চলছে। অনেকেই বলছেন, পুণে হিন্দুত্ববাদীদের অন্যতম ঘাঁটি এবং ইতিহাস কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব হিন্দুত্ববাদের তীব্র সমালোচক। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের চাপেই এই ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রসঙ্গত, ই-মেল পাঠানো হয়েছে তিন রাজ্যে বিজেপির পরাজয়ের পরেই!
আরও পড়ুন: সিন্ধিয়াকে সভাপতি করা হোক রাজ্যে, সরব অনুগামীরা
ইতিহাস কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রায় এক বছর আগে থেকেই অধিবেশনের জায়গা হিসেবে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্বাচন করা হয়েছিল। আগামী ২৮ ডিসেম্বর অধিবেশন শুরুর কথা ছিল। এক মাস আগেও যোগদানে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে চাঁদাও নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বুধবার তারা জানিয়ে দেয়, আর্থিক অনটনের কারণে তারা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে না। অধিবেশনে নথিভুক্ত প্রার্থী তো বটেই, ইতিহাস কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতিকেও কার্যত প্রেরকের নামও পদহীন একটি ই-মেল পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাফাল রায়ে ব্যাকরণ ভুল! মুখ বাঁচাতে কোর্টেই কেন্দ্র
ইতিহাস কংগ্রেসের সম্পাদক অধ্যাপিকা মহালক্ষ্মী রামকৃষ্ণন তাঁর বিবৃতিতে জানান, পুণে বিশ্ববিদ্যালয় একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে তাঁরা বিস্মিত এবং হতাশ। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে প্রার্থীদের চাঁদা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সমিতি বৈঠকে বসেছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চে অধিবেশন হতে পারে। পুণের বিকল্প জায়গা খোঁজার কাজও শুরু হয়েছে।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য আর্থিক অনটনের ছাড়া অন্য চাপের কথা অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাস গবেষকদের অনেকেরই প্রশ্ন, আচমকা অনটনের উপলব্ধি হল কেন? নামগোত্রহীন ই-মেলের কারণ কী? তার অবশ্য সদুত্তর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy