—ফাইল চিত্র।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। উত্তর-পূর্ব বারতে বিজেপি এই প্রথম কোনও রাজ্যে সরকার গড়ল। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একধিক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে শপথ নেন ৫৩ বছরের সোনোয়াল।
শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল বলেন, ‘‘আমি আজ যেখানেই পৌঁছই না কেন, সবের পেছনেই অসমবাসীর আশীর্বাদ ও ভালবাসা রয়েছে।’’ গুয়াহাটির খানাপাড়া মাঠে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ দিন ৮০ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়। সকলেই যাতে সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠান দেখতে পারেন, তার জন্য মাঠের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিনও লাগানো হয়। এ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও হাজির ছিলেন।
বছর পাঁচেক আগে অসম গণ পরিষদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সোনোয়াল। পরের বছরই দলের প্রদেশ সভাপতি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপিকে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে মেলে আশাতীত সাফল্য। কেন্দ্রে মন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে ফের দল তাঁকে প্রদেশের দায়িত্বে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। বিজেপির মোদী-শাহ জুটির চলতি প্রথা ভেঙেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দল। এবং একদা ‘ভারোত্তলক’ কার্যত কাঁধে করেই দলকে নিয়ে এসেছেন অসমে ক্ষমতার মসনদে। এ বার নিজেও বসলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে।
বিধানসভার লড়াইয়ে সর্বানন্দকে বাড়তি শক্তি জুগিয়েছেন অবশ্যই তাঁর এক সময়ের সহকর্মী ও পরবর্তী কালের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সর্বানন্দের সঙ্গে হিমন্তের জোটবন্ধন বিজেপিকে বাড়তি গতি, বাড়তি প্রাণশক্তি জুগিয়েছে নিঃসন্দেহে। এ দিন সর্বানন্দের পরেই শপথ নেন হিমন্ত। সম্ভবত তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হতে চলেছেন। সর্বানন্দ এবং হিমন্ত ছাড়াও এ দিন অন্য সাত জনও শপথ নিয়েছেনু। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের দফতর সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy