লরেন্স বিশ্নোই। —ফাইল চিত্র।
বিশ্নোই সমাজের পশু সুরক্ষা বিষয়ক এক সংগঠনের যুব শাখার সভাপতি করা হল লরেন্স বিশ্নোইকে। গ্যাংস্টার বিশ্নোই বর্তমানে আমদাবাদের সবরমতী জেলে বন্দি রয়েছেন। পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি ও মুম্বই মিলিয়ে তিন ডজনেরও বেশি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনেও নাম জড়িয়েছে লরেন্সের দুষ্কৃতীদলের। এই আবহেই মঙ্গলবার ‘সারা ভারত পশু সুরক্ষা বিশ্নোই সমাজ’ নামে এক সংগঠন তাদের যুব শাখার সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করেছে লরেন্সের নাম। এর পরে বুধবার লরেন্সের আত্মীয় রমেশ বিশ্নোই এক ভিডিয়ো বার্তায় জানান, বিশ্নোই সমাজের মানুষেরাই চাইছিলেন লরেন্সকে এই পদে নিয়োগের জন্য।
সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই সলমন খানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। লরেন্সের দুষ্কৃতীদলের সদস্যেরা সলমনের উপর হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই আগাম সতর্কতা হিসাবে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সলমন-লরেন্স বিতর্কের নেপথ্যেও রয়েছে পশু-যোগ। কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করেন বিশ্নোই সম্প্রদায়ের মানুষজন। সেই হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। ১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে সলমন কৃষ্ণসার হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থান হাই কোর্ট। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সলমন। সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন লরেন্স। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে লরেন্স জেলে বসেই ঘোষণা করেছিলেন, সলমনকে খুন করবেন তিনি। সম্প্রতি সিদ্দিকির মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে লরেন্সের দলের। সিদ্দিকির সঙ্গে সলমনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও কারও অজানা নয়। সিদ্দিকির উপর হামলার পর, সম্প্রতি লরেন্সের আত্মীয় রমেশ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘সলমন খানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগের সঙ্গে খেলা করছে ওঁর পরিবার। সলমন ক্ষমা না চাইলে আইন আইনের পথে চলবে।’’ এই আবহে বিশ্নোই সমাজের পশু সুরক্ষা সংগঠনের যুব শাখার সভাপতি করা হয় লরেন্সকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy